মত ও পথ
তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লাগছে রেলওয়েতে। এরই মধ্যে ১৩টি রেলওয়ে স্টেশনে ওয়াই-ফাই সেবা চালু করা হয়েছে। শিগগিরই এ সুবিধার আওতায় আসছে আরো ১২টি স্টেশন। একই সঙ্গে ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনেও সার্বক্ষণিক ওয়াই-ফাই সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও ইয়াসিন আলীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে কী পরিমাণ ভূমি রয়েছে এবং চট্টগ্রামের রেলস্টেশন রোডে কল্যাণ ট্রাস্টের অধীন টিনশেড মার্কেটের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বহুতল ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের বেদখলকৃত জমির পরিমাণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তারা কে কোথায়, কতদিন কর্মরত আছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৩টি রেলওয়ে স্টেশনে (ঢাকা, ঢাকা বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, যশোর ও খুলনা) ওয়াই-ফাই সেবা চালু করা হয়েছে। আরো ১২টি রেলওয়ে স্টেশনে (লাকসাম, আখাউড়া, চাঁদপুর, জামালপুর, ভৈরব বাজার, ঈশ্বরদী, পার্বতীপুর, সৈয়দপুর, লালমনিরহাট, নরসিংদী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও বনানী স্টেশন) শিগগিরই এ সেবা চালু হবে। এছাড়া রেলওয়ের ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেনে (সোনার বাংলা, সুবর্ণ পারাবত, সুন্দরবন, একতা ও ধূমকেতু) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচগুলোতে ফ্রি ওয়াই-ফাই সেবা প্রদানে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের চুক্তি সই হয়েছে।
আলোচনা শেষে কমিটি বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় বৃদ্ধির জন্য রেলওয়ের অধীন ভূসম্পত্তি লিজ প্রদানের ক্ষেত্রে রেট বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং রেলওয়ের বেদখলকৃত জমি উদ্ধারের পর সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সুপারিশ করেছে।