মত ও পথ
ঘরের বড় সন্তান বাবা-মায়ের পরম আদরের হয়। ঠিক তেমনি ঘরের ছোট সন্তান পায় সহানুভূতি। অপরদিকে মেজ সন্তান নিজেকে অবহেলিত এবং একা মনে করেন। বড়-ছোট সন্তানের আদরের কাছে নিজেকে পরিবার থেকে কখনো আলাদাও মনে করেন তারা। তবে মেজ সন্তানরা ব্যক্তিগত এবং কর্ম জীবনে বেশি সফলতা লাভ করেন। সম্প্রতি এক গবেষণার পর এমনটাই দাবি করছেন ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের একটি অ্যানালাইসিস গ্রুপ এবং ইউনিভার্সিটি অব সিডনি। তারা ৫০০০ মানুষের উপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মেজ সন্তানদের বেশি বুদ্ধিমান এবং সফল হওয়ার পেছনে অবশ্য বেশ কিছু কারণও আছে। বড় সন্তান অনেক বেশি মনোযোগ পায় বাবা-মায়ের। আর ছোট সন্তান পায় সহানুভূতি। এর মাঝে টিকে থাকতে হয় মেজ সন্তানের। তাই ছোট বেলা থেকেই তারা বেশি ধৈর্যশীল, সহনশীল ও ডিপ্লোম্যাটিক হয়।
টিমে মিলেমিশে কাজ করার বিষয়টি মেজ সন্তান অন্যদের চাইতে বেশ ভালো পারে। বড় সন্তানটি যখন জন্ম নেয়, তখন সব কিছুই তার একার থাকে। কিন্তু মেজ সন্তানের ছোট বেলা থেকেই সব ভাগাভাগি করে নিতে হয়। এরপর ছোট সন্তানের জন্মের পরে তার সঙ্গেও নিজের সবকিছু শেয়ার করতে হয়। মিলেমিশে থাকার গুনটা তাই মেজ সন্তানের মাঝেই বেশি থাকে যা পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রে সফলতা নিয়ে আসে।
ইগো’র সমস্যা মেজ সন্তানের মাঝে কম থাকে। পরিবারের মেজ সন্তান হওয়ার কারণে খুব বেশি মনোযোগ পাননা তারা। আর তাই অহেতুক ইগো বা অভিমান করার সমস্যাগুলো কাটিয়ে নিতে পারেন মেজ সন্তানরা। অল্পেই সন্তুষ্ট হওয়ার মানসিকতার কারণে ব্যক্তিগত জীবনেও মেজ সন্তানরা সফল।
বন্ধু হিসেবেও মেজ সন্তানরা দারুণ। পরিবারে মনোযোগ না পেয়ে বাইরের জগতের প্রতি বেশি আকর্ষণ থাকে তাদের। সাধারণত তারা বাইরে খুবই বন্ধুবৎসল হয়। ঘরের বাইরেই আনন্দ খুঁজে নিতে পারে তারা। ফলে তাদের অনেক ভালো বন্ধু থাকে এবং নিজেরাও বন্ধু হিসেবে খুবই ভালো হয়।