মত ও পথ
৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। নৌকার মাঝি হয়ে দলের জন্য ভোটের মাঠে লড়বেন বরিশাল থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ, রাজশাহীতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সিলেটে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
শুক্রবার বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়।
আওয়ামী লীগ সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় বোর্ড সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভায় মননোয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
আগামী ৩০ জুলাই বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারন করা হয় ২৮ জুন। জমা পড়া মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামী ১ ও ২ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার শেষ দিন ৯ জুলাই।
নির্বাচনকে ঘিরে এই তিন মহানগরেই চলছে প্রচার প্রচারণা। তবে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে খুব প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে ছিলো উৎকন্ঠা। কে পাচ্ছেন মনোনয়ন? আওয়ামী লীগ সেই উৎকন্ঠা কমালো নিজেদের কর্মী সমর্থকদের জন্য। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করেছে।
বরিশাল থেকে মনোনয়ন পাওয়া তরুণ নেতা সাদিক আবদুল্লাহ এবারই প্রথম নির্বাচন করছেন। অপেক্ষাকৃত এই তরুণ নেতার জন্য সুপারিশ করেছিলো জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সাবেক চীফ হুইপ এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর জৈষ্ঠ্য পুত্র সাদিক আবদুল্লাহ দীর্ঘ দিন ধরে বরিশাল আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ে রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন। বর্তমানে এই তরুণ নেতা দলীয় নেতা কর্মীদের সংগঠিত করে আলোচনায় চলে আসেন। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়র হিসেবে দল তাকে মনোনয়ন দিবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিলো। মনোনয়ন আলোচনায় উঠে এসেছিলো কয়েক সিনিয়র নেতার নামও। যদিও মাঠ পর্যায়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ছিলেন সাদিক আবদুল্লাহ। তবে সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাদিক আবদুল্লাহই মনোনয়ন পেলেন।
রাজশাহী থেকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেন এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। সাবেক এই মেয়রকেই দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
সিলেটে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছিলেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর ফয়জুল আনোয়ার এবং অধ্যাপক জাকির হোসেন। তবে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেয়েছেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
এ ছাড়া কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদীয় উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমএ মতিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।