মানসী সাহা, কলকাতা
কেটে গিয়েছে ২০ টা বছর। ওদের আর দেখা হয়নি। কিন্তু আজও মন খারাপের মেঘলা দিনে, ম্যাজিকের মতো মুখে হাসি ফুটিয়ে দিয়ে যায় কলেজের সেদিন গুলি। সেমসয় ওরা চারজন মিলে না জানি কতো কী করেছে। কলেজে সবাই ওদের হরি আত্মা বলত। আসলে ওদের মধ্যে মিলও তো ছিল অদ্ভূত রকমের। একই ধরণের ভাবনা চিন্তা৷ একই মতামত৷ একই ভাললাগা।
ফ্ল্যাশ ব্যাকের সঙ্গেই বর্তমানের মিশেলে বন্ধুত্ব নিয়েই গল্প বুঁনেছে পরিচালক মুরারি এম রক্ষিত। ছবির নাম’রিইউনিয়ন’৷ অভিনয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেন, ইন্দ্রাশিস রায় ও সায়নি ঘোষ সহ আরও অনেকে। যাঁদের নিয়ে কলকাতার অলিগলি জুড়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মেন্টর অফ দ্য গ্রুপ মুরারি।
কাহিনির পাতা অনুযায়ী, গ্রুপটা ছিল তিনটি ছেলে আর একটি মেয়ের। তারমধ্যে দু’জন ছিল সিরিয়র। কিন্তু সম্পর্কে এসব বড় ছোট, দাদা-দিদির কোনও ব্যাপার ছিল না৷ বিন্দাস তারা আড্ডা মারত। চলত হাসি-মজাক। সব সময় একে অন্যের সঙ্গে যেন আসটে পিসটে জড়িয়ে আছে সারাক্ষণ। কিন্তু কলেজের গন্ডি পাড় হতেই হারিয়ে যায় দিনগুলি। একই শহরে থেকে রোজ তো দূরে থাক, আজকাল আর দেখাই হয়না তাদের।
কংক্রিটের এশহরে রোজকার ব্যস্ততায় হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে তারা প্ল্যান করে রিইউনিয়নের। নির্দিষ্ট দিনে দেখা হয় তাঁদের। কিন্তু রিইউনিয়নের দিনটিতেও বাজল মন কেমনের সুর। পুরনো দিন গুলির কথায় ভাসতে ভাসতে, মনে পড়ে যায় তাঁদের এক সিরিয়রের কথা। যাঁর বহুদিন হল কোনও খোঁজ নেই৷ কিন্তু একদিন তাঁদের ভাবনাচিন্তায়, মতামতে, দৃষ্টিভঙ্গিতে অনেকটাই প্রভাব ফেলেছিলেন সে। কেবল সিনিয়র নয়! ওদের চারজনের জীবনে শিক্ষকের মতো ছিলেন সে৷ অনেক খোঁজ করেছিল ওরা, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি৷
অতীতের বেড়াজ্বাল টপকে তাঁরা ঠিক করে দার্জিলিং ঘুরতে যাবে। যেমন কথা তেমনি কাজ। দার্জিলিংয়ের কাছে একটি গ্রামে ঘুরতে যায় তারা৷ এখানে এসে তারা খুঁজে পায় সেই সিনিয়রকে। আর অবাক হয়ে যায় দেখে কীভাবে গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে সে। শহরের সুবিধা, আড়ম্বর ছেড়ে পাহাড়েই বসবাস শুরু করেছেন তাও আবার নিজের স্বার্থের জন্য নয়, গ্রামের মানুষদের স্বার্থে৷
কিন্তু কেন সে ছেড়ে এল শহর? কেনই বা এই চারজন তাকে খুঁজে ফেরে? নিখাদ বন্ধুত্বের মাঝে রয়েছে নানান ট্যুয়িস্ট। না নিয়ে বড়পর্দায় খুব তাড়াতাড়ি আসছেন পরিচালক।