মত ও পথ
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
এই দুই মেয়র প্রার্থীই ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জাহাঙ্গীর আলম বাসসকে বলেন, উন্নয়নের প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করতে গাজীপুরে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যে ২ হাজার ৭৬১ টি বুথে নির্বাচনী এজেন্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। আশা করি- সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গাজীপুরবাসী নৌকাকেই বিজয়ী করবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু নৌকার ভোটারই নয়, সকল ভোটার যাতে নির্বিঘেœ ও অবাধে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া আছে। গাজীপুর একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা কোন অবস্থাতেই যাতে এলাকার বদনাম না হয় এ ব্যাপারেও সকলকে বলা আছে।’ জয়-পরাজয় যাই হোক তা মেনে নেয়ার মানসিকতা রয়েছে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে কিছু ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, আশা করি গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি নির্বাচনের মাঠে আছি এবং থাকবো ‘ফেইলিউর ইজ দ্য পিলার অব সাকসেস’। গাজীপুরবাসী ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিবে বলে তিনি আশা করেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এ দু’জন ছাড়াও মেয়র পদে আরো ৫জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)। এরাও নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। প্রায় ৩৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। এবার দ্বিতীয় নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। গত ১৫ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ এবং পরে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৮ জুন থেকে পুনরায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। সে অনুযায়ী আজ এ সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৪২৫টি।
এ নির্বাচনে ৫৭টির মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ডে ২৫৪ জন কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৪ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।