মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তির পর রাষ্ট্রের সাথে পাহাড়ি ও আদিবাসীদের সাথে কোন বিরোধ নেই। আজ সিরডাপ মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতি অর্জনে প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি আরো বলেন এই পাহাড়ি অঞ্চলে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সংঘাত সৃষ্টি করেন। শান্তিচুক্তির ২১ বছর হলেও সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকায় চুক্তিটি দ্রুত সময়ে পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এ হিসেবে ১২ বছর ৬ মাস মূলত কাজ হয়েছে। সরকার এখন পার্বত্য অঞ্চলের বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জন্য শান্তি নষ্ট হচ্ছে।পাহাড়ি অঞ্চলের শান্তির জন্য মাদক, অস্ত্র, চোরাচালান, বন্ধ করা জরুরি।এক শ্রেণির শিল্পপতিরা জমি দখল করলেও কর্মসংস্থান করছেন না। এখানে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হচ্ছে না। কৃষি সম্ভাবনাকেও কাজে লাগানো হচ্ছে না।তবে এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা উচিত।
শান্তি বজায় রাখতে তিনি পারস্পরিক আলোচনার উপরও জোর দেন। তিনি বলেন এখানে পাহাড়ি আদিবাসীদের সাথে সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ সরাসরি আলোচনা করলে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের যে সংঘাত তা বন্ধ হবে।
মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. নূহ আলম লেলিন।তিনি আশা করেন সবার উপরে মানুষ সত্য এই ব্রত নিয়ে কাজ করলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতি অর্জন সম্ভব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, মো. নূরুল আমিন।