গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪১৬ টি কেন্দ্রে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের নৌকা প্রতীকে পড়েছে ৪, ১০, ০০০ এবং বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ধানের শীষে পড়েছে ১, ৯৭, ৬১১ ভোট। রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মণ্ডল এই ফল ঘোষণা করেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মো. হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)। ভোটাররা বলছেন, প্রার্থী সাত জন হলেও মূল লড়াই হবে জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান সরকারের মধ্যে।
গাজীপুরে এবার মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন ও নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। এ সিটিতে এবার নতুন ভোটার এক লাখ ১১ হাজার। এছাড়া, শ্রমিক ভোটার দুই লাখের বেশি। সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৮৮টিকে সাধারণ চিহ্নিত করা হয়।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে ২৫০টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের নৌকা প্রতীক পেয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৭ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ ভোট। অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বী হাসান সরকার থেকে জাহাঙ্গীর আলম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪ ভোট বেশি পেয়েছেন।
বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ভোটের তথ্যের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলই চূড়ান্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তাই বিজয়ী প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এরপর ফল পাঠিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনে। সেখান থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।