বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ঢাকা

মত ও পথ

সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর চীনের হংকং। ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও আছে। তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৬৬ তম। বসবাসের জন্য বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরের এ তালিকাটি আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবসম্পদ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মার্সার। একটি নির্দিষ্ট শহরে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের জন্য শহরটি কতটা ব্যয়বহুল, তার ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ২৪ বছর ধরে এ তালিকাটি প্রকাশ করে আসছে মার্সার।
মার্সারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপানের রাজধানী টোকিও। শীর্ষ দশে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, সিঙ্গাপুরের সিঙ্গাপুর সিটি, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল, অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়ান্ডা, চীনের সাংহাই, চাদের রাজধানী এনজামিনা, চীনের রাজধানী বেইজিং ও সুইজারল্যান্ডের আরেক শহর বার্ন। শীর্ষ দশে সবচেয়ে বেশি ছয়টি শহর এশিয়া মহাদেশের।

ক্রমেই বেড়ে চলা বাড়ি ভাড়ার কারণে গত এক বছরে হংকংয়ে বসবাসের খরচ এখন সবচেয়ে বেশি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হংকংয়ে জায়গার সংকটের কারণে আবাসন খরচ সব সময়ই ব্যয়বহুল। গত বছর ব্যয়বহুল শহর হিসেবে হংকংকে হটিয়ে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছিল আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়ান্ডা। এবার এ শহরটি রয়েছে ছয় নম্বরে। লুয়ান্ডা সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার দুর্বল অবস্থানের কারণেই এমনটি হয়েছে।

ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ঢাকা উন্নত বিশ্বের অনেক শহরকেও পেছনে ফেলেছে। এর মধ্যে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর, বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের মতো শহর রয়েছে। তালিকা অনুয়ায়ী, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর এখন মুম্বাই। এই শহরটি রয়েছে ৫৫ তম স্থানে।

তালিকায় বিশ্বের মোট ২০৯টি শহর স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল শহর নির্বাচিত হয়েছে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দ। কম ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় এরপরের দুটি স্থানে আছে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস ও কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক।

এ তালিকা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে বসবাসের খরচকে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। নিউইয়র্কে বসবাসের খরচের সঙ্গে অন্য শহরের তুলনা করে তালিকাটি করা হয়েছে। এটি করতে গিয়ে ২০০টি বিষয় বা সূচককে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে বাসা ভাড়া, খাবার, পোশাক, যাতায়াত, বিনোদনের খরচ। সিনেমা দেখার টিকিটের দামের পার্থক্য, এক কাপ চা ও কফির দাম, এক লিটার বোতলজাত পানি, পেট্রল ও দুধের দামের মতো বিষয়গুলোও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পণ্যের দাম মার্কিন ডলারের বিপরীতে একটি শহরে প্রচলিত মুদ্রার মুদ্রার ওঠা-নামার সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে মার্সারের এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও তুরস্কের গ্লোবাল মোবিলিট প্রাকটিস লিডার মারিও ফেরারো বলেন, খাদ্য ও অন্যান্য সেবা এবং মুদ্রার বিনিময় মূল্যের মুদ্রাস্ফীতির ওঠা-নামার কারণে এশিয়ার শহরগুলোতে বসবাসের খরচ বাড়ছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে