বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে জার্মানি৷ কিন্তু দলের পারফর্ম্যান্স বিশ্লেষণ করে এতে আশ্চর্য হচ্ছেন না ফুটবলবোদ্ধারা৷ তাঁরা বলছেন, দীর্ঘদিনের বাজে খেলার ধারাবাহিকতার মূল্য অবশেষে দিতে হলো ডি মানশাফটকে৷
জার্মান সমর্থকরা ভেবেছিলেন, গ্রুপ পর্ব আর এমন কী! বরং খেলা শুরু হবে দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে নক আউট পর্বে যাওয়ার পর৷
অনেকে আবার ভাবতে শুরু করেছিলেন, শেষ ষোলতে ব্রাজিলের সাথে দেখা হলে কেমন হবে৷ তবে এই দল যে ২০১৪ সালের সেমিফাইনালের ৭-১ গোলের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে না, সে বিষয়ে অবশ্য কারোই সন্দেহ ছিল না৷
কিন্তু মেক্সিকোর সাথে হেরে এবং সুইডেনের সাথে শেষ মুহুর্তের গোলে পয়েন্ট পেয়ে আশা বাঁচালেও, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে পারলো না জার্মানি৷
জার্মান ফ্যানদের মধ্যে গত ৪ বছরে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল, জার্মানি হারতে পারে না৷ সবশেষ সুইডেনের সাথে ম্যাচের পরও অনেককেই বলতে শোনা গেছে, ‘‘এভাবেই ডি মানশাফট শেষ মুহূর্তেও বারবার ঘুরে দাঁড়ায়৷” কিন্তু কোরিয়া-পরীক্ষার পর স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো জার্মানি৷
ডয়চে ভেলের আলিমা হোটাকি খেলার সময় বার্লিনের একটি ফ্যান জোনে ছিলেন৷ তাঁর টুইট করা ভিডিওতে বোঝা যাচ্ছিলো কতটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন মানশাফট সমর্থকরা৷
জার্মানির এমন পারফর্ম্যান্সে সমালোচনায় সরব হয়েছেন সাবেক ফুটবলাররাও৷ জার্মানির সাবেক ফুটবল তারকা মিশায়েল বালাক টুইটারে দলের আত্মসমালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এই মানের খেলোয়াড়দের নিয়েও কেন এত দ্রুত জার্মানির বিদায়, তার আসল কারণ খুঁজে বের করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি৷
সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ তারকা মারিও বাসলার তীব্র সমালোচনা করেছেন জার্মান দলের৷ তাঁর মতে, জার্মান দলের বিশ্বকাপে থাকার যোগ্যতাই নেই৷
২০১৪ সালে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার পর জার্মানির জনপ্রিয় পত্রিকা বিল্ড যে হেডলাইন করেছিল, এবার বিদায়বেলাও একই শিরোনাম তাদের- ‘বাকরুদ্ধ’৷ তবে বদলে গেছে গল্পটা৷ আগেরবারের প্রশস্তির জায়গায় এবার বইছে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড়৷
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান ইংল্যান্ড দলকে জার্মানির অবস্থা মনে করিয়ে সাবধান হতে বলেছে৷
তবে, সবার কাছ থেকে যে শুধু সহানুভূতি আর সমালোচনা আসছে, তা নয়৷ ব্রাজিল সমর্থকদের অনেকেই চার বছর আগের ৭-১ গোলের প্রতিশোধ খুঁজে পাচ্ছেন জার্মানির পরাজয়ে৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে