লেখক-প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চু হত্যার ‘প্রধান পরিকল্পনাকারী’ জেএমবি সদস্য আব্দুর রহমান পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এসময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। বুধবার (২৭ জুন) রাতে এই ঘটনা ঘটে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা ইন্টেলিজেন্ট অফিসার (ডিআইওয়ান) মো. নজরুল ইসলাম একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘২৪ জুন পুলিশের কয়েকটি টিম একত্রে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে জেএমকি সদস্য আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে। বাকি সঙ্গিদের ধরার জন্য আব্দুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ২৬ জুন রাত ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার খাসমহল বালুর চরে তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে আব্দুর রহমানকে নিয়ে ফিরে আসার সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায় তার সঙ্গিরা। পুলিশও পাল্টা হামলা চালালে আব্দুর রহমান নিহত হয়। এসময় সিরাজদিখান থানার তিন পুলিশ সদস্য এএসআই দেলোয়ার, হাসান এবং কনস্টেবল মোশারফ আহত হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিরা দুই মাস ধরে খাস মহল বালুর চরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো।’ এসময় সেখান থেকে হ্যান্ড গ্রানেড, আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের পূর্ব কাকালদী গ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন শাহজাহান বাচ্চু (৬০)। দু’টি মোটরসাইকেলে এসে তাকে গুলি করার পর আবার মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। শাহজাহান বাচ্চু একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ‘আমাদের বিক্রমপুর’ নামে একটি অনিয়মিত সাপ্তাহিক পত্রিকারও তিনি ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া, মুক্তচিক্তার লেখক বাচ্চু বিভিন্ন ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি করতেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন