৪৩ বছর আগে ইন্দিরা গাঁধীর জারি করা জরুরি অবস্থার কথা টেনে এনে দু’দিন আগেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। আজ বিরোধী শিবিরকে খোঁচা দিতে গিয়ে সেই জরুরি অবস্থার কথাই সামনে নিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ করলেন, ‘‘সে দিন যাঁরা ইন্দিরা সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিল, আজ তারা এবং কংগ্রেস শুধু ক্ষমতার লোভে একজোট হয়েছে।’’ মোদীর দাবি, ‘‘সমাজের কল্যাণ নয়, বরং নিজেদের এবং তাঁদের পরিবারের কথাই ভাবছেন বিরোধী দলের নেতারা।’’
আজ উত্তরপ্রদেশের সন্ত কবীর নগরের জনসভায় বিরোধীদের উদ্দেশে সর্বাত্মক আক্রমণে গিয়েছেন মোদী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কয়েকটি দল দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে। এরা উন্নয়ন চায় না, শান্তিতেও আগ্রহী নয়। বরং নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’’ উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি একজোট হয়ে ভোটে লড়ায় একের পর এক উপনির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। স্বাভাবিক ভাবেই এ দিন প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের মুখে ছিলেন অখিলেশ যাদব, মায়াবতীরা। মোদী বলেন, ‘‘যাঁরা সব সময়েই সমাজবাদ বা বহুজনের কথা বলে, তাঁরা আসলে স্বার্থপর। সমাজের উন্নতির কথা ভাবেন না এঁরা, নিজেদের পরিবারের উন্নতির চেষ্টা করেন।’’ অখিলেশকে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ দিন টেনে এনেছেন বাংলো বিতর্কের কথা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এঁরা গরিব মানুষের বাসস্থান নিয়ে আগ্রহী নয়, শুধু চিন্তা করেন নিজেদের জন্য সরকারি বাংলো নিয়েই।’’ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যের গরিব মানুষকে সুযোগ করে দিতে অখিলেশ ব্যর্থ হয়েছেন এবং এ জন্য নামের তালিকা তিনি কেন্দ্রকে দিতে পারেননি বলেই অভিযোগ আনেন মোদী। নিজের সরকারের কাজের খতিয়ান পেশ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী তিন তালাক বিল আটকানোর জন্যও বিরোধীদের দায়ী করেন। তাঁর অভিযোগ, মুসলিম মহিলারা চাইছেন। অথচ বিল পাশে বাধা দিচ্ছেন বিরোধীরা।
এনডিএ সরকারের চার বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলিতদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। মোদী এ দিন অম্বেডকরের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘‘কয়েকটা দল অম্বেডকরের আদর্শের কথা বললেও আসলে রাজনৈতিক স্বার্থের কথা ভাবছে।’’ প্রধানমন্ত্রী এ দিন কবীরের সমাধিতেও চাদর চড়ান। বলেন, ‘‘সন্ত কবীর জাতপাতে বিশ্বাস করতেন না। সবাইকে সমান ভাবতেন। নতুন ভারত গড়তে কবীরের সেই বার্তাই মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছি।’’