মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংক প্রায় ৪৮ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি এবং পয়:নিষ্কাশন, দুর্যোগ-ঝুঁকি মোকাবিলা এবং সামাজিক সুরক্ষা – ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ সহায়তা কাজে লাগানো হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টোনিও গুটেরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের বাংলাদেশ সফরের ঠিক আগেএ অনুদানের কথা ঘোষণা করা হলো।
গত বছরের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেদেশের সেনাবাহিনী এক সশস্ত্র অভিযান শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মুখে শোনা গেছে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের বর্ণনা। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইতিমধ্যে এ ঘটনাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে বর্ণনা করেছেন।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরকে এখন ‘পৃথিবীর বৃহত্তম’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সংকটজনক প্রকৃতি বিবেচনায় এনে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে চলমান স্বাস্থ্য খাতের সহায়তা-প্রকল্পে আরো ৫ কোটি ডলার অতিরিক্ত অনুদান অনুমোদন করেন বিশ্বব্যাংকের পরিচালকমন্ডলী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি একটি ধারাবাহিক অনুদানের অংশ যার সর্বমোট পরিমাণ শেষ পর্যন্ত ৪৮ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, বাংলাদেশ এই মানবিক সংকটে দারুণ নেতৃত্ব দেখিয়েছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আলোচনা চললেও তাতে এখন পর্যন্ত তেমন কোন অগ্রগতি হয় নি।