ফ্যান কিনলে নতুন গাড়ি

‘লাগলো এবার কাড়াকাড়ি, ফ্যান কিনলে নতুন গাড়ি’ এই শ্লোগান নিয়ে এবার ফ্যানের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন শুরু করলো ওয়ালটন। এর আওতায় ক্রেতারা প্রতিবার ওয়ালটনের ফ্যান বা ইলেকট্রিক পাখা কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই পাবেন নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। পেতে পারেন নতুন গাড়ি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভিসহ অসংখ্য পণ্য। ওয়ালটন ফ্যানে এসব সুবিধা থাকছে আগামী তিন মাস অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
অন লাইন বিক্রয়োত্তর সেবা আরো সহজতর করতে গ্রাহক ডাটাবেজ তৈরির উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। উদ্দেশ্য হলো অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান।
আজ রবিবার (১ জুলাই, ২০১৮) রাজধানীতে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, এসএম জাহিদ হাসান ও মো. হুমায়ুন কবীর, হেড অব সেলস (ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস) সাখাওয়াৎ হোসেইন, ফ্যান আরএনডি বিভাগের ইনচার্জ ও চীফ অপারেটিং অফিসার রুবেল আহমেদ, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর সোহেল রানা, ফার্স্ট সিনিয়র এ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মো. মোখলেসুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ক্রেতারা ওয়ালটনের সিলিং, টেবিল, দেয়াল, রিচার্জেবল ও প্যাডেস্টাল ফ্যান কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ফিরতি এসএমএস পেতে পারেন নতুন গাড়ি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন উপহার। থাকছে বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।
এই ক্যাম্পেইন থেকে গ্রাহকের নাম, ফোন নাম্বার এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল ইত্যাদি ওয়ালটন সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এ জন্য রয়েছে ওয়ালটনের নিজস্ব একটি ওয়েব পেইজ (http://support.waltonbd.com). এর মাধ্যমে গ্রাহক ঘরে বসে অনলাইনে বিক্রয়োত্তর সেবা চাইতে পারবেন। জানতে পারবেন পণ্যটি কোন পর্যায়ে আছে, কখন ডেলিভারি ইত্যাদি।


ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এসএম জাহিদ হাসান বলেন, প্রযুক্তিক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। অথচ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমরা পাকিস্তান, চীনসহ অন্যান্য দেশে তৈরি ফ্যান ব্যবহার করছি। এটা মোটেও সুখকর কিছু নয়। এখন বাংলাদেশেই সবধরনের উচ্চমানের ফ্যান তৈরি হচ্ছে। এমনকি ওয়ালটন ফ্যান রপ্তানিও হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সুতরাং দেশপ্রেমিক ক্রেতাদের উচিত নিজ দেশের পণ্য বেছে নেয়া। নিজের দেশের শিল্পকে সমুন্নত রাখা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আন্তর্জাতিকমান সম্পন্ন ইলেকট্রিক্যাল ফ্যান উৎপাদন ও বাজারজাত করায় দেশবিদেশে ওয়ালটন ফ্যানের চাহিদা ও বিক্রি বাড়ছে। অচিরেই ফ্রিজ ও টিভির মত ইলেকট্রিক্যাল ফ্যানের স্থানীয় বাজারে মার্কেট লিডার হবে ওয়ালটন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নিজস্ব কারখানায় তৈরি ওয়ালটন ফ্যানে ব্যবহৃত হচ্ছে উন্নতমানের কাঁচামাল। ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রোটেকনিক্যাল কমিশন (আইইসি)-এর স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে তৈরি ওয়ালটন ফ্যান নেপাল, নাইজেরিয়া, পূর্ব তিমুর ও সিসেলসে রপ্তানি হচ্ছে। এই তালিকায় খুব শিগগিরই যুক্ত আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার অন্যান্য দেশ।
ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেসের হেড অব সেলস সাখাওয়াৎ হোসেইন বলেন, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনে জার্মানি, জাপান, তাইওয়ানের অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্যান। এর মধ্যে সাদা, নীল, গোলাপী ও ক্রীম কালারের ১৫ মডেলের সিলিং ফ্যান উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এসব ফ্যানের দাম পড়ছে ২ হাজার ৪৯০ টাকা থেকে ২ হাজার ৯৪০ টাকা পর্যন্ত। ক্রিম হ্যোয়াইট, ডার্ক ব্লু ও স্কাই ব্লু কালারে মোট ৬ মডেলের ওয়ালটন টেবিল ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৯৯০ টাকায়। এছাড়া ক্রিম হ্যোয়াইট, হ্যোয়াইট, ডার্ক ব্লু ও স্কাই ব্লু কালারে ৮ মডেলের দেয়াল ফ্যান মিলছে ২ হাজার ৩৯০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮৯০ টাকায়। রিচার্জেবল ফ্যানের রয়েছে ৯টি মডেল। এসব ফ্যানের দাম ৩ হাজার ৬৯০ টাকা থেকে ৪ হাজার ২’শ টাকা। প্যাডেস্টাল ফ্যানে রয়েছে পিংক, পার্পল, ক্রিম হ্যোয়াইট, স্কাই ব্লু, ব্ল্যাক কালারের মোট ১১টি মডেল। এর মধ্যে ট্রাইপড স্ট্যান্ডের ২টি মডেল রয়েছে। প্রতিটির দাম ৪ হাজার ৯৯০ টাকা। অন্য মডেলের প্যাডেস্টাল ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার ৫’শ টাকা থেকে ৫ হাজার ৯৯০ টাকায়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে