অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রত্যাবাসনে চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাংক মিয়ানমারে প্রকল্প অনুমোদন করা বন্ধ করেছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য দু:স্থ সম্প্রদায় ছাড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের জন্য তারা মিয়ানমারে প্রকল্প অনুমোদন করা বন্ধ রেখেছে।
আজ মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এর সঙ্গে স্বাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এই কথা বলেন।
মুহিত জানান, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ হওয়ার পরও প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে এদেশে আশ্রয় দেয়ার কারণে সফররত বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব দরবারে সচেতনতা বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে সহায়তা করবে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। আমরা অস্থায়ীভাবে তাদের আশ্রয় দিচ্ছি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেরকম নিরাপদ জোন তৈরির জন্য আমরা জাতিসংঘকে পদক্ষেপ নিতে বলেছি বলে তিনি জানান।
এ সময় মুহিত বলেন, রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪৮০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গাদের জন্য ৪৮০ মিলিয়ন ডলার অনুদান সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার কিছুদিনের মধ্যেই দিবে। অবশিষ্ট অংশ দুই বছরের মধ্যে আসবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এছাড়া জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের ব্যয় বহনে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
বাংলাদেশ