অসুখ করলে, শরীর খারাপ করলে নিকটস্থ চিকিৎসক- যাঁর কাছে আমরা প্রাথমিক পরামর্শ নিয়ে থাকি তিনি বিশেষজ্ঞ হবেন এমন কোনো শর্ত নেই। অতঃপর উপশম না হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাগত হই। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা গ্রহণের প্রচলিত রেওয়াজ। এই প্রথা চলে আসছে সুদূর অতীত থেকে। নিকট ভবিষ্যতেও এ রীতির অন্যথা হবার কারণ নেই। অন্তত যতক্ষণ না রোবট মানবে পৃথিবী ছেয়ে যায়। আগের দিনে এখনকার মতো গ্রামে-গঞ্জে সার্টিফিকেটধারী চিকিৎসক ছিল না। যাঁরা ছিলেন তাঁরা স্ব-শিক্ষিত এবং নিজ নিজ অঙ্গনে- ইউনানি, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অভিজ্ঞ ছিলেন বৈকি। এদের উপর মানুষের অপরিসীম আস্থা ছিল। প্রসঙ্গত মনে পড়ে গেল বাংলাদেশ টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনের একটি চরিত্র- চার চারবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ভিডিও ধারণকারী প্রয়াত খ্যাতিমান অভিনেতা আবুল খায়ের অভিনীত কবিরাজ চরিত্রটি। কবিরাজ (আবুল খায়ের) এ গাঁও থেকে ঐ গাঁয়ে ঘুরে ফিরতেন বন বাদাড়ে আর খুঁজে বেড়াতেন ঔষধি গাছগাছড়া। শেষের দিকে যা ঘটল- তাঁর চিরচেনা অর্জুন গাছটি আর সেখানে নেই। বিষণœ মনে তিনি ফিরে যাচ্ছেন, কেউ একজন তাঁকে কবিরাজ বলে পিছু ডাকল। যতদূর মনে পড়ে তিনি বলছিলেন- আমি আর তোমাদের কবিরাজ নই। গাছও নাই- কবিরাজও নাই।
পেশায় আমি শিক্ষক। ঊনত্রিশটি বছর কেটে গেছে এই পেশায়। এই সময়ের মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় কত কী পরিবর্তনের সাক্ষী হলাম। সর্বশেষ মহান জাতীয় সংসদে পাশকৃত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ পেলাম। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে এমন আশায় বুক বেঁধেছিলাম শিক্ষক সম্প্রদায়সহ সমগ্র দেশবাসী। ইতোমধ্যে আট আটটি বছর পার হতে চলল কিন্ত শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে শম্বুক গতি। স্বভাবতই বাস্তবায়নকারীদের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহের ডালপালা ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্পগুলো এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এখন বাস্তবতা। অপরদিকে সব উন্নয়নের চালিকাশক্তি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে গতি সঞ্চার না হওয়ার কারণ কী তা দেরিতে হলেও দৃশ্যমান হচ্ছে। সমতল আর পর্বতের মধ্যকার বৈষম্যই যেন আমজনতার ললাট লিখন। স্বাধীনতার ৪৭তম বার্ষিকী উদযাপিত হল সাড়ম্বরে। অথচ শিক্ষা এখনও পণ্য। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের দর্শন এটা সমর্থন করে না। পুঁজিবাদের অসম প্রতিযোগিতা নৈতিকতাকে ঝেটিয়ে বিদায় করেছে। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ব্যতীত আর কেউ এখন বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচির কথা স্মরণও করেন না। বাকী সব প্রগতিশীলদের জন্য প্রযোজ্য এ সময়ের শব্দগুচ্ছ : পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ।
সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী বেতনের শতভাগ সরকারের নিকট থেকে পেয়ে আসছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনার দায়িত্ব ম্যানেজিং কমিটি অথবা গভর্নিং বডির উপর। শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষমতাও ছিল পরিচালনা পর্ষদের হাতে। পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ কার্যক্রমে সর্বত্রই সঠিক পন্থা অবলম্বন করেছেন একথা হলফ করে বলা যাবে না। তাঁদের পূর্বপুরুষদের প্রতিষ্ঠিত অথবা তাঁদের সমষ্টিগত প্রয়াসে যে সব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে জেনেবুঝে তাঁরা এ সব প্রতিষ্ঠানের সর্বনাশ ডেকে আনবেন সে ভাবনাও তো অযৌক্তিক। একজন মালী চারা গাছের পরিচর্যা করতে করতে রঙিন ফুলে ফুলে বাগান ভরিয়ে তুলে অপার আনন্দ লাভ করে। তদ্রƒপ পুরুষে পুরুষে এই মানুষেরাই অর্থ-সম্পদ খরচ করে, সময়-শ্রম দিয়ে এক একটি প্রতিষ্ঠানকে গৌরবদীপ্ত জায়গায় নিয়ে গেছেন। দুচারজন নষ্ট-ভ্রষ্ট স্বার্থপর মানুষ এটা করেছে সেটা করেছে এ অজুহাতে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া সমীচীন হয়নি। কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তার এ ধরনের প্রেসক্রিপশন করতে পারেন না। সঠিকভাবে তথ্য উপাত্ত পরখ না করে গুটিকতক মন্দের রোগ সারাতে সব ভাল’র কপালেও প্লেগ- আক্রান্ত লিখে দেওয়া হল। কোনো ন্যায়শাস্ত্র এখানে অনুসরণ করা হয়নি।
একাধিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার সুযোগ হয়েছে আমার। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনায় যাঁরা ছিলেন বা আছেন তাঁদের বিদ্যা-বুদ্ধি, বিচক্ষণতা, বিচার-বিশ্লেষণ ক্ষমতার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ আমৃত্যু অটুট থাকবে। পেশাগত জীবনে বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ এর সহধর্মিণী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন, তাঁর দেবর এডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমদ খান, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমানের মতো বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে আসার দুর্লভ মুহূর্তগুলো আমি কখনোই ভুলব না। তাঁদের নিজস্ব কোন চাওয়া-পাওয়া ছিল না। মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ তৈরিতে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন শিক্ষকগণ- এর বেশি কিছু তাঁরা চাননি। বিগত দুদশক ধরে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ, মানসম্মত শিক্ষা, ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাওয়া কয়েকজন দেশপ্রেমিক মানুষের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আধুনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রূপকার শিক্ষিত সজ্জন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, মাউশি’র সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন তাঁদের অন্যতম। তাঁদের শিক্ষা, শিক্ষার প্রতি তাঁদের অনুরাগ সর্বত্র প্রশংসনীয়। নিকট থেকে অনুভব করতে পারি তাঁরা কতটা বিব্রত। নিজেদের পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার তাঁদের নেই।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তা ব্যক্তিরা কী তেলেসমাতি দেখালেন! বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বা এনটিআরসিএ এখন শিক্ষক নিয়োগের মালিক-মোকতার। ফলাফল একদম হাতে হাতে। দুবছর ধরে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। জটিলতার পর জটিলতা। এনটিআরসিএ এখন কঠিন জট রোগে নিদারুণ যন্ত্রণায় ধুঁকতে ধুঁকতে কোমায় চলে গেছে। এদিকে পাঠদান মুখ থুবড়ে পড়েছে। গ্রামীণ জনপদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখার বর্তমান বাস্তব অবস্থা অনুধাবনের জন্য পরবর্তী আলোচনা সহায়ক হতে পারে। আমার জানামতে স্ট্যাফিং প্যাটার্ন অনুযায়ী বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরে ২২, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ২০ এবং বিজয়নগর উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরে ২৭, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ০১ সর্বমোট ৭০ জন এমপিও-র বিপরীতে শিক্ষকের প্রাপ্যতা রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখার মান এবং শিক্ষকদের করুণ দশা দেখে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। দেশব্যাপী চল্লিশ হাজার শূন্যপদ রয়েছে এমপিও-র বিপরীতে। শূন্যপদে মেধাবী তরুণ-তরুণীরা নিয়োগ পেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রাণ ফিরে আসত। অপরদিকে কর্মসংস্থান হওয়ায় চল্লিশ হাজার পরিবারে আনন্দের ফোয়ারা বয়ে যেত। বিগত দুবছরে এতদুপলক্ষে প্রায় দুহাজার কোটি টাকা সাধারণ মানুষের মধ্যে হাতবদল হতে পারত। নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিকরণও বন্ধ। তাহলে অব্যয়িত অর্থের গন্তব্য কোথায়? প্লাকার্ড-ফেস্টুন হাতে প্রশ্নের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন তো?
এখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস রুটিন আমি দেখেছি। পঞ্চাশ মিনিটের পিরিয়ড, প্রতিদিন ছয় পিরিয়ড- সপ্তাহে ছয় দিনে ছত্রিশটি ক্লাস। একজন শিক্ষক সপ্তাহে ২৮/৩৪ টি ক্লাস নেন। ক্লাসে যাওয়ার প্রস্তুতির বালাই নেই; বিশ্রামের হয়েছে ছুটি। শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত জাতীয় শিক্ষানীতিতে বর্ণিত অনুপাতের চেয়ে কল্পনাতীত বেশি। ফলে পিছনের কয়েক সারির বেঞ্চে বসা শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় শিক্ষকদের কথা শুনতে পায়না। কেউ কেউ হৈ-চৈ করে, কেউ বা বিষণœ মনে প্রহর গুণতে থাকে কখন ছুটি হবে। স্কুল এবং কলেজে এখন বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক ব্যতীত অন্য কেউ ক্লাস নিতে গেলে তিনি যে কী বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন তা চাক্ষুষ জ্ঞান না করলে উপলব্ধি করা দুরূহ। একটা সময় ছিল যখন বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হতো। তখনকার জিটি (গুরু ট্রেইনিং) পাশ শিক্ষকগণও প্রক্সি ক্লাস করতেন এবং বেশ সফলভাবেই করতেন। আমার মনে পড়ে মৌলভী সুজাত উদ্দিন স্যারের কথা। পড়াতেন বাংলা ব্যাকরণ। ইংরেজি স্যার ছুটিতে গেলে তিনি আমাদের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস নিতেন। একটি ট্রানস্লেশনের কথা আজও ভুলিনি। ‘পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান বন থেকে হেগে এলেন।’ ব্লাকবোর্ডে লিখে স্যার বললেন এই বাক্যটির ইংরেজি কর। আমার হাসি যেন থামতে চাইল না। শিক্ষাবিদ প্রফেসর সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে আক্ষেপ করে বলেছিলেন- ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হওয়া নবাগত শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ ইংরেজিতে একটি নির্ভুল বাক্য গঠন করতে পারে না। শিক্ষার মান দিনে দিনে যাচ্ছে কোথায়? কথায় আছে- সর্ষের মধ্যে ভূত। শিক্ষা ব্যবস্থার কোথায় যেন একটা চক্র ছল-চাতুরী করে সব অর্জন ম্লান করে দিতে তৎপর। আশি-নব্বইর দশকে বাংলা সিনেমার একটি জনপ্রিয় গানের শুরুটা এমন ছিল- পানিরে পানি তোর মতলব জানি।
আমরা কি মতলববাজদের ধরতে আন্তরিক? প্রশ্নটা এ জন্য উঠছে- বিগত কয়েক বছর ধরে প্রশ্নফাঁস চক্রটি চ্যালেঞ্জ ছুঁেড় দিয়ে নাকের ডগায় বসে কুকর্মটি সম্পন্ন করে গেছে হরষচিত্তে। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব এটা স্বীকার করতে চাননি কখনো। বরং হাঁক ডাক ছেড়েছেন প্রশ্নফাঁসকারী কেউ রেহাই পাবে না, প্রশ্নে হাত দিলে সে হাত কেটে ফেলা হবে। এ হুঙ্কারে কোনো কাজ হয়নি। প্রমাণ ২০১৮ সনের এসএসসি পরীক্ষা আরম্ভের পূর্বদিন থেকে শেষ পর্যন্ত ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এতটুকু লজ্জা হয়নি কারো। বরং সগর্বে ঘোষণা করা হল- প্রশ্নফাঁসে বড়ো জোর চার পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে। সুতরাং বৃহত্তর স্বার্থে পরীক্ষা বাতিল করা হবে না। চার পাঁচ হাজার লক্ষ¥ীমন্তরা কি চিহ্নিত না অজ্ঞাতনামা? জানি এ রহস্যের কূল কিনারা এ জনমে হবে না। অথচ পার্শ^বর্তী দেশ ভারতের একটি রাজ্যে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষার মান নিয়ে তাঁরা কোনো আপস করেননি। আমাদের এখানে অবশেষে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় এ দুর্গতির বিনাশ ঘটেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এখানে একজন প্রফেসর কায়কোবাদ কী এমন করলেন যাতে প্রশ্নফাঁসের সকল দুয়ার বন্ধ হয়ে গেল। আন্তরিকতা-দক্ষতা-দৃঢ়তা এবং সর্বোপরি কমিটমেন্ট থাকলে অসাধ্য সাধন সম্ভব। কায়কোবাদ স্যার- আপনাকে স্যালুট ।
গাঁও-গ্রামের মানুষ তাঁদের সন্তানদের পড়ালেখার জন্য প্রাইভেট অথবা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পাঠাতে অক্ষম। নামি-দামি শল্যবিদরা বিগত দুবছরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে কাটাছেঁড়া করলেন তাতে ক্ষত শুকাবার লক্ষণতো নেই-ই বরং ধনুষ্টংকারে আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড বাঁকা হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঔষধি গাছপালা- লতাগুল্মের গুণাবলি বিজ্ঞানও অস্বীকার করে না। তাই বলছিলাম ডিগ্রিধারী বড় বড় শিক্ষাবিজ্ঞানীরা যতক্ষণ পর্যন্ত রোগ নিরূপণ ও নিরাময়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপত্র দিতে না পারছেন কিংবা জুতা আবিষ্কারের সেই মুচির দেখা না পাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের প্রিয়জন- সজ্জনদের উপর আস্থা রাখতে চাই। গাঁও-গ্রামের চাষা-ভূষোর ছেলেমেয়েরা এক-আধটু পড়ালেখা করুক।
কী বলেন সবাই? নাইয়া বাইয়া যাও।
লেখক : অধ্যক্ষ, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অর্নাস কলেজ।