ফেয়ার প্লে আইনের কারনে রাশিয়া বিশ^কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে সেনেগাল। আর এই আইনের বিপরীতে বিশ^ ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফার কাছে অভিযোগ করেছে সেনাগালেস ফুটবল ফেডারেশন (এফএসএফ)।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল সেনেগাল। এর ফলে এইচ-গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে তারা প্রথম রাউন্ড শেষ করে। সমান চার পয়েন্টসহ গোল ব্যবধানও সমান হওয়ায় হলুদ কার্ডের কারনে এগিয়ে থেকে জাপান পরের রাউন্ডে উঠতে সমর্থ হয়। গ্রুপ পর্ব শেষে সেনেগালের ৬টি হলুদ কার্ডের বিপরীতে জাপানের কার্ড ছিল চারটি।
এই প্রথমবারের মত বিশ^কাপের গ্রুপ পর্বে ফেয়ার প্লে আইন প্রবর্তন করা হলো। পোল্যান্ডের কাছে শেষ ম্যাচেও জাপান ১-০ গোলে পরাজিত হওয়ায় দুই দলের পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান সমান ছিল।
এফএসএফ’র মুখপাত্র কারা থিওনে বিবিসি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে ফিফার এই আইন নিয়ে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে। ফিফা নতুন আইন প্রবর্তন করেছে ঠিকই, কিন্তু এই ধরনের আইন কি আসলেই সমস্যার সমাধান করতে পারবে। পোল্যান্ডের সাথে জাপানের ম্যাচে একাধিক শাস্তি থেকে বেঁচে গেছে জাপান। কিন্তু আসলেই কি সব সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।’
এফএসএফ সূত্র নিশ্চিত করেছে শুক্রবার তারা ফিফার কাছে দুটি চিঠি দিয়েছে। এর মধ্যে একটি ফেয়ার প্লে আইনের বিপক্ষে, আরেকটি কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ পরিচালনাকারী রেফারির মান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কলম্বিয়া যখন সেনেগালের সাথে ১-০ গোলে জয়ী হয় তখন জাপান সেই ম্যাচের ফলাফল দেখে মাঠে নিজেদের সেভাবে উপস্থাপন করেনি, তাদের মধ্যে খেলার কোন আগ্রহ ছিলনা। এটা ফুটবলের নীতির বিপক্ষে। ফেডারেশন আরো অবাক হয়েছে এই বিষয়টিতে যে জাপানীজ কোচ পুরো বিষয়টি স্বীকার করেছে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্বীকার করেছেন যে ১-০ গোলে পরাজয়ে ফলাফল ধরে রাখার জন্য তিনি দলকে উজ্জীবিত করেছিলেন। সেনেগাল ফুটবল ফেডারেশন পুরো বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না।
খেলা