বিশ্বকাপ থেকে একে একে আর্জেন্টিনা, জার্মানি এবং স্পেনের অপ্রত্যাশিত বিদায়ের পর, ফেভারিট হিসাবে ইংল্যান্ডের নাম দিনকে দিন তালিকার ওপরের দিকে উঠছে। আর সেই সাথে জুয়াড়িরা ছুটছেন হ্যারি কেনের দলের ওপর বেট লাগাতে।
ঘাম ঝরতে শুরু করেছে বেটিং কোম্পানিগুলোর কর্তাদের। অবস্থা দেখে, সম্ভাব্য বিশ্বকাপ বিজয়ী হিসাবে ইংল্যান্ডের অডস ৫-১ এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে বিশ্বকাপের কোনো টুর্নামেন্টেই এই পর্যায়ে ইংল্যান্ডের অডস এতটা কম ছিলনা। আর মঙ্গলবার কলম্বিয়ার সাথে ম্যাচে অডস ১১-১০, অর্থাৎ বাকিরা ধরেই নিচ্ছে ইংল্যান্ড জিতবে। বেটিং কোম্পানি কোরাল-এর কর্মকর্তা ডেভিড স্টিভেন্স বলছেন- রোববার রাশিয়ার কাছে স্পেনের পরাজয়ের পর ইংল্যান্ডে এখন সত্যিকারের ফেভারিট হয়ে উঠেছে। জুয়াড়িরা হামলে পড়ছেন ইংল্যান্ডের পক্ষে টাকা বাজি ধরার জন্য। তারা ঘাম ঝড়িয়ে দিচ্ছেন বুকিদের। ফলে, অডস কমছে। অর্থাৎ বাজি ধরে জেতা টাকার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের বেটিং অডস এখন শুধু ব্রাজিল এবং ফ্রান্সের (উভয়েই ৭-২) ওপরে। আর গোল্ডেন বুটের সম্ভাব্য বিজয়ী হিসাবে ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন এখন বুকিদের সবচেয়ে পছন্দের। তার অডস ৫-৪। রোমেরু লুকাকুর অডস ৫-২, এমবাপের ৯-১।
কেন ইংল্যান্ড ফেভারিট হয়ে উঠছে?
রোববার স্পেনের বিদায়ের পর ফাইনালের আগ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জয়ী কোনো দলের মুখোমুখি হতে হচ্ছেনা ইংল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডের ভয় ছিল, কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের হয়তো জার্মানি অথবা স্পেনের মোকাবেলা করতে হতে পারে। সেই ভয় এখন আর নেই।
এখন অঙ্কটা এমন দাঁড়িয়েছে – ইংল্যান্ড, রাশিয়া, কলম্বিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে একটি দল ফাইনালে যাবে। ফলে, টুর্নামেন্টের আগে ইংল্যান্ডের নাম তেমন উচ্চারিত না হলেও, দিন দিন সম্ভাবনা বাড়ছে তাদের।
এর আগে পাঁচটি দেশের কাছে হেরে নক-আউট রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে – জার্মানি (২০১০, ১৯৯০. ১৯৭০), পর্তুগাল (২০০৬), ব্রাজিল (২০০২, ১৯৬২), আর্জেন্টিনা (১৯৯৮,১৯৮৬) এবং উরুগুয়ে (১৯৫৪)। তবে এবার গল্প ভিন্ন পথে গড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার কলম্বিয়াকে হারাতে পারলে, কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ হবে সুইডেন অথবা সুইজারল্যান্ড। তাতে জিতলে সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের সাথে খেলা হবে হয় ক্রোয়েশিয়া নয় রাশিয়ার।
আর এই দেশগুলোর মধ্যে ফিফা র্যাংকিংয়ে সুইজারল্যান্ডের সাথে ইংল্যান্ড যুগ্মভাবে শীর্ষে (১২), কলম্বিয়া (১৬), ক্রোয়েশিয়া (১৬), সুইডেন (২৪), রাশিয়া (৭০)। তবে ভুললে চলবে না, কলম্বিয়া দলে রয়েছে হামেস রডরিগেজ এবং ফ্যালকাওয়ের মত ম্যাচ- উইনার। ক্রোয়েশিয়ার আছে মর্ডিচ এবং রাকেতিচ আর রাশিয়ার রয়েছে হোম গ্রাউন্ডের সুবিধা।
সুতরাং যখন তখন উল্টে-পাল্টে যেতে পারে সব হিসাব-নিকাশ।
সূত্র : বিবিসি