বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীন সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশ রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য-বিনিয়োগ আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়ার্ল্ড এনার্জি কাউন্সিল বাংলাদেশ চ্যাপ্টার আয়োজিত বাংলাদেশ-চায়না বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও চ্যালেঞ্জসমূহ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরোও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবমুখী পদক্ষেপে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি চীনের সহযোগিতার বড় প্রয়োজন।
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের সড়ক, ব্রিজ, রেলওয়ে, বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি ও সেবাখাতে দেশটি বিনিয়োগ করেছে। চীনা সরকারের পাশাপাশি দেশটির বেসরকারী খাতের বিনিয়োগও প্রয়োজন।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান রিক হক শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জু।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ‘ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ’। এজন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসে সেজন্য কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে চীনের বিনিয়োগ রয়েছে। তবে দেশটি এ খাতে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগের জন্য আমাদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন। ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জু বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশকিছু বাধা রয়েছে। এসব বাধা দূর করা গেলে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ আরও বাড়বে। এছাড়া বাংলাদেশী পণ্যেরও বড় বাজার হতে পারে চীন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আরও অনুকূল পরিবেশ ও সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। সরকার আশা করে, চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াবেন। বাংলাদেশ একটি বড় বাজার। বাংলাদেশ আশা করে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের এই বড় বাজারের সুপ্তশক্তি কাজে লাগাবেন।
অর্থনীতি