মত ও পথ ডেস্ক
তখন সে বছর বারোর কিশোরী। পাক তালিবান জঙ্গিরা সরাসরি মাথায় গুলি করেছিল তার। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স করে দেশ ছাড়তে হয়েছিল ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর। তিনি মালালা ইউসুফজাই। সেই থেকে ব্রিটেনেই থাকতে শুরু করে মালালার পরিবার। মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ে তাঁর অবদানের জন্য ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান গুল মকাই। এই নামেই ব্লগ লিখতেন মালালা। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৭ বছর। মালালার সেই লড়াইয়েরই কাহিনী নিয়ে বলিউডের ছবি ‘গুল মকাই’। পরিচালক আমজাদ খান। সেই ছবিরই ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে এলো মঙ্গলবার।
পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যকার একজন সাধারণ মেয়ে থেকে সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হয়ে হওয়ার পথটা একেবারেই মসৃণ ছিল না মালালার। ফার্স্ট লুকের পোস্টারটিতেও সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। পোস্টারে তাঁর হাতে বই, হাতের মধ্যেই জ্বলন্ত এক উপত্যকা। মুখে সেই অনমনীয় দীপ্তি।
তালিবান অধ্যুষিত সোয়াটের মতো এলাকার দৈনন্দিন জীবন যাপনের নানান মুহূর্তকে তুলে ধরার পাশাপাশি মালালার মতো কিশোরী তালিবানি শাসানি উপেক্ষা করে কী ভাবে স্কুলে যায় তাও দেখানো হয়েছে ‘গুল মকাই’ ছবিতে।
এই ছবির শুটিং হয়েছে কাশ্মীরের গান্দেরবালের কয়েকটি জায়গায়। গুজরাটের ভুজ ও মুম্বাইয়েও শুট হয়েছে বেশ কিছু দৃশ্যের। ছবিটিতে রিম শেখ অভিনয় করছেন মালালার ভূমিকায়। এছাড়াও রয়েছেন দিব্যা দত্ত, মুকেশ ঋষি, অভিমন্যু সিংহ ও আজাদ খান।
বারবার তালিবানি হামলা, চোখরাঙানির বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে এগিয়ে চলার যে শক্তি মালালা অর্জন করেছে, তাই দেখা যাবে এই ছবিতে। হাজার প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মালালার অনমনীয় দৃঢ়তাকেই সম্মান জানাতে চেয়েছেন পরিচালক।
২০১২ সালে তালিবানি হামলায় মারাত্মক জখম হওয়ার পর ফের পড়াশুনা শুরু করেন মালালা। ভর্তি হন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। নারীশিক্ষা নিয়ে দেশবিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বক্তব্য রাখছেন তিনি। ইসলামাবাদ থেকে পাক সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মা, বাবা, দুই ভাইকে নিয়ে মালালা এসেছিলেন সোয়াটেও। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মিঙ্গোরা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে গুলিবাগে সেনাবাহিনীর সোয়াট ক্যাডেট কলেজে।