ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নগরায়ন ও স্থাপত্য বিষয়ক কেন্দ্র উদ্বোধন

মত ও পথ রিপোর্ট

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নগরায়ন ও স্থাপত্য বিষয়ক গবেষণা পরামর্শ প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ অ্যান্ড আরবানিজম’ এর (Ci+AU) উদ্বোধন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগে এই সেন্টারের কার্যক্রম চলবে। শহুরে জীবনযাত্রা নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী ও প্রাণোচ্ছল করতে গবেষণা ও পরামর্শ প্রদান করবে এই সেন্টার।

সম্প্রতি রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগে এই সেন্টারের উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড. সৈয়দ সাদ আন্দালিব। স্থাপত্য সংস্কৃতি ও নগরায়নের সমন্বয়ে পরিবেশ সচেতন ও মানবীয় শহর গড়ে তোলাই এই কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য। সরকারি ও ব্যক্তিগত সেক্টরে নতুন জ্ঞান তৈরি, উদ্ধাবনী নকশা ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে সাহায্য করবে এই সেন্টার। আর্কিটেকচার বিভাগের সভাপতি ড. আদনান মোর্শেদের নেতৃত্বে ২০১৭ সালে এই সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়।

universel cardiac hospital

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ অ্যান্ড আরবানিজমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন ড. আদনান মোর্শেদ। তিনি জানান, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এই সেন্টারটি ব্র্যাকের আঞ্চলিক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল ও আবাসিক ক্যাম্পাসসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নকশা প্রণয়নের কাজ করেছে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ক্যাম্পাসের গুণগত উৎকর্ষ সাধন প্রসঙ্গে ড. আদনান মোর্শেদ বলেন, ‘আবাসিক ক্যাম্পোসের বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের দেয়াল ডিজাইন করার কাজটি করছি আমরা। যেখানে বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানা, নদী পরিচিতি, ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের পরিচিতি থাকবে। এছাড়া দেশি বিদেশী বিভিন্ন মনীষীর জীবনী ও তাদের বাণী প্রাধান্য পাবে। শিক্ষার্থীরা যাতে খেলা, খাওয়া এমনকি অবসরের মধ্যেও নিজেদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারে সেই বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে।

এছাড়া আরো চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে বলে জানান ড. আদনান। যার মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমী সামনে ফুটপাত ডিজাইন ও নগর ডিজাইন প্রকল্প। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতের কর্ম পরিকল্পনাও জানিয়ে দিলেন এই স্থপতি। সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ, আর্কিটেকচার অ্যান্ড আরবানাইজেশন সম্পর্কে লেকচার সিরিজ আয়োজন, গুরুত্বপূর্ণ ইসুত্যে আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামসহ বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. সৈয়দ সাদ আন্দালিব বলেন, ‘এই ধরণের সেন্টারগুলো প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে কমপক্ষে একটি করে সেন্টার থাকা দরকার। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের চেঞ্জমেকারদের তৈরি করে।’ এ সময় শিক্ষকদের প্রতি নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, রুপান্তর, বিস্তার ও তার বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইকোনমিক্স অ্যান্ড সোশাল সায়েন্স বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এটিএম নুরুল আমিন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে