গায়ে ক্রোয়েশিয়ার জার্সি, গলায় বিশ্বকাপের ফ্যান আইডি ঝুলিয়ে তিনি চলে গেলেন দলকে সমর্থন করতে। শুধু দলকে সমর্থন করাই নয়, ফুটবলারদের তাতাতে ড্রেসিংরুমেও হাজির ছিলেন প্রেসিডেন্ট। এমনকী জয়ের পর প্রত্যেক ফুটবলারকে নাকি জড়িয়েও ধরেছিলেন তিনি। ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কোলিন্দা বলেন, “আমি দেখিয়ে দিতে চাই, আমিও সাধারণ নাগরিকদের মতো ফুটবল সমর্থকদের। আসলে ভিভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখলে প্রথাগত পোশাক পরতে হয়। দলের গলা ফাটাতেও সমস্যা হয়, তাই স্টেডিয়ামে বসেই খেলাটা উপভোগ করতে চাই আমি।”
তাকে দেখে আর পাঁচটা সাধারণ ফুটবল সমর্থক বলে ভুল হতে পারে। কিন্তু ইনি সাধারণ কেউ নন, ইনি খোদ ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্রাবার-কিতরোভিচ।
কোলিন্দা গ্রাবার-কিতরোভিচ একাধারে ক্রোয়েশিয়ার প্রশাসনিক প্রধান, সেনা প্রধান আবার ফুটবল ভক্তও। তবে, আর পাঁচজন রাষ্ট্রনায়কের মত ভিভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখতে পছন্দ করেন না কোলিন্দা। বিশ্বকাপেও তাই খেলা দেখলেন খোলা স্টেডিয়ামে বসেই।
ম্যাচের একদিন আগেই রাশিয়ায় হাজির হওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। কিন্তু প্রশাসনিক কাজ ফেলে তা আর হয়ে ওঠেনি। ক্রোয়েশিয়া থেকে আর পাঁচজন সাধারণ নাগরিকের মত তিনি ইকোনমি ক্লাসের টিকিট কাটেন এবং ম্যাচের দিন যথাসময়ে হাজির হন স্টেডিয়ামে। উল্লেখ্য ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছিল কোলিন্দাকে।
সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গেই উড়ে আসেন রাশিয়ায়। আর পাঁচজন ফুটবল সমর্থকের মতোই লাইন দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করেন বিশ্বকাপের ফ্যান আইডি। তারপর সটান স্টেডিয়ামে। প্রিয় দলের জয়ে উচ্ছ্বাসও তার ছিল আর পাঁচজন সাধারণ সমর্থকের মতোই। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই সেইসব ছবি শেয়ার করেছেন কোলিন্দা।