নারী, তৃতীয় লিঙ্গ-হিজড়াসহ সমাজে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে সামনে আনতে রাষ্ট্রের আলাদা আইন করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কামিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। সোমবার সকালে কমিউনিটি ফোরাম অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিয়াজুল হক বলেন, প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা একটি সাংবিধানিক অধিকার, রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা। এইচআইভি/এইডস্ আক্রান্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষেই এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত কমিউনিটি ফোরাম অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন। তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও জীবন মান উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় বৈষম্য ও কুৎসাভীতি। এবসব দূরীকরণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ব্লেকেন।
‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’ বৈশ্বিক শ্লোগানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ২০৩০ বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, অধিকার সচেতনতা তৈরি এবং ঝুঁকি নিম্নায়ণের লক্ষ্যে ৬টি বিশেষায়িত (ট্রান্স জেন্ডার/হিজড়া, অভিবাসী, পিএলএইচআইভি, এমএসএম, এফএসডব্লিউ, পিডব্লিউআইডি) জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে কমিউনিটি ফোরাম অব বাংলাদেশ।
এস/৯৭১৮/১০