বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় মঞ্চে অাসছে নাটক ‘পানিবালা’। দীর্ঘকাল ধরে এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ হলেও এবারই প্রথম এই তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে নাটক। বাংলাদেশের মেঠো থিয়েটার এবং ভারতের কলকাতার জার্নি থিয়েটার যৌথভাবে মঞ্চে নিয়ে আসছে নাটক ‘পানিবালা’। নাটকটির রচয়িতা বদরুজ্জামান আলমগীর। খুব শিগগরি নাটকটি মঞ্চে আসবে বলে জানান মেঠো থিয়েটারের প্রধান শামীম আক্তার মুক্তা। প্রথমে ঢাকার মঞ্চে এবং পরে কলকাতার মঞ্চে নাটকটি মঞ্চস্থ হবে।
মুক্তা জানান, নাটকের গল্পটি বর্তমান সময়ের ঘটনাবলী নিয়ে রচিত। নাটকের বক্তব্য সমাজে ঘটে যাওয়া নানা বিষয়কে ধারণ করেছে। নাটকটি দর্শকদের মধ্যে নানা ভাবনা ও চিন্তার বিষয় উপস্থাপন করবে। আমরা সমাজকে বাসযোগ্য ও সুন্দর করার স্বপ্নে বিভোর। কি সেই স্বপ্ন। কি সেই পথ। প্রত্যাশিত নানা বিষয় এতে তুলে ধরা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ‘পানিবালা’ নাটকে কাজ করার জন্য কলকাতার জার্নি থিয়েটারের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়েছে। মহড়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কিছুদিন আগেই ঢাকায় এসেছেন কলকাতা জার্নি থিয়েটারের মুকুন্দ চক্রবর্তী। তার সঙ্গে কলকাতার লেখক ও সাংবাদিক অভিক ভট্টাচার্য ও অভিনেতা জীবন চৌধুরীও এসেছেন। এসেই তারা নাটকটির মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন।
মুকুন্দ চক্রবর্তী আজ বাসসকে জানান, দুই বাংলার মধ্যে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে বহুকাল হলো। এতে অনেক সফলতা এসেছে চলচ্চিত্রে। নাটক হয়নি যৌথভাবে। সেই চিন্তা থেকেই যৌথ প্রযোজনায় নাটক আমরা করছি। বাংলাদেশে সবারই ভাল সহযোগিতা পাচ্ছি। শিগগির আমরা দর্শকদের সামনে ‘পানিবালা’ মঞ্চস্থ করবো।
দুই দেশের মধ্যে যৌথ প্রযোজনায় নাটক করার বিষয়টাকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেযডরেশনের চেয়ারম্যান নাট্য ব্যাক্তিত্ব লিয়াকত আলী লাকী বাসসকে জানান, যৌথভাবে নাটক করার বিষয়টা দীর্ঘকাল ধরে আমরা ভাবছিলাম। সেটা হতে যাচ্ছে, বলা যায় দুই দেশের নাটকের ক্ষেত্রেও আমরা সংযোগ হতে যাচ্ছি। এতে করে আমাদের নাটকের দর্শক আরও বেড়ে যাবে, দুই দেশেই। তিনি ‘পানিবালা’ নাটকের মধ্যদিয়ে যে নাট্যবন্ধন হবে দুদেশে, এটার সার্থকতা কামনা করেন। মেঠো থিয়েটার ও কলতকাতার জার্নি থিয়েটারের সদস্যরা বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে তিনি জানান।
এস/৯৭১৮/১৫