বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের সুফল তৃণমূলে পৌছাতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় এ সেবা পৌছে দিতে চিকিৎসকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তৃণমূল জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে তিনি চিকিৎসকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
তিনি আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনি ট্রাস্ট আয়োজিত ৭৩তম ডিএমসি দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বক্তব্য রাখেন।
স্পীকার বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার ক্ষেত্রে একটি অনন্য ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে এ প্রতিষ্ঠানের রয়েছে গৌরবোজ্জল ভূমিকা। ডিএমসি’র শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে সুনামের সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে- – যা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।
ডা. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সকল সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এমডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে- যাতে চিকিৎসকদের ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) পূরণেও সক্ষম হবে।
বর্তমান সরকার সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন স্বাস্থ্যখাতের কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।
এখাতে সরকারের সফলতা ধরে রাখতে তিনি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনি ট্রাস্ট এর চেয়াম্যান ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোঃ শফিকুল আলম চৌধুরী’র সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. টি এ চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়লা খাতুন, ডিএমসি’র অধ্যক্ষ ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, বিএসএমএমইউ’র ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং ডা. মোদাচ্ছের আলী।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এ সময়ে স্পীকার ডিএমসি’র কৃতি শিক্ষার্থী ডা. নুঝাত তাবাসসুম এর হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন।