কিংস্টন টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় বাংলাদেশের

মাত্র দু’দিন ও এক সেশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ইনিংস ও ২১৯ রানের বড় ব্যবধানে এন্টিগা টেস্ট হেরেছে সফরকারী বাংলাদেশ দল। শুধুমাত্র হারের ব্যবধানই লজ্জা দিচ্ছে না টাইগারদের। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড সর্বনিন্ম ৪৩ রানেও গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে এন্টিগা ম্যাচের স্মৃতি ভুলে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া কিংস্টন টেস্টে ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ভালো করতে চায় টাইগাররা। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি।

গেল জুনের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব নেন ইংল্যান্ডের সাবেক খেলোয়াড় স্টিভেন রোডস। তার অধীনে নতুন স্বপ্ন নিয়ে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু করার ইচ্ছা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু বিধিবাম। নতুন কোচের অধীনে নিজেদের প্রথম টেস্ট ম্যাচেই লজ্জার রেকর্ড গড়ে টাইগাররা।

universel cardiac hospital

এন্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কেমার রোচের ৫ উইকেট শিকারে ৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এটিই সর্বনিন্ম রান হিসেবে রেকর্ড বইয়ে লিপিবদ্ধ হয়। প্রথম ইনিংসের ভুলগুলো দ্বিতীয় ইনিংসেও শুধরিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে প্রথম ইনিংসের চাইতে কিছুটা হলেও মুখ রক্ষা হয়েছে টাইগারদের। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রান করতে পারে তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়েছিলো বাংলাদেশ। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান নিজেদের দ্বিতীয় টেস্টে ৬৪ রানের ইনিংস না খেললে এখানেও ১’শর নীচে গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়েছিলো সাকিব আল হাসানের দল।

প্রথম টেস্ট বাজেভাবে হেরে অনুতপ্ত সাকিব। তার পথেই হাঁটলেন দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। এমন হারের কোন প্রকার অজুহাত দেখাননি তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, ‘আমাদের শেষ টেস্ট ম্যাচটি আপনাদের জন্য যেমন বিস্ময়ের ছিলো, আমাদের জন্যও তাই ছিলো। আমরা এর চেয়ে অনেক ভালো দল। যে ধরনের পারফরমেন্স করেছি, তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। এখন দলের ভেতর যে আবহ আছে, আমরা কোনভাবেই অজুহাত খোঁজার চেষ্টা করছি না। আমরা আশা করছি, পরের টেস্টে ভালো কিছু করবো।’
বাজেভাবে এন্টিগা টেস্ট হারলে সেখান থেকে আত্মবিশ্বাস খোঁজার চেষ্টা করলেন তামিম, ‘আমাদের দলের সবার জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো, বিশ্বাসটা ধরে রাখা যে- আমরা ভালো খেলতে পারি। বিশ্বাস করতে হবে যে, আমরা বড় স্কোর গড়তে পারি। শেষ টেস্ট ম্যাচে সোহান যেভাবে ব্যাট করেছে, লোয়ার-অর্ডার যেভাবে করেছে সেটি ভালো ছিলো। আর এটাই প্রমান করে যে, উইকেটে সময় কাটাতে পারলে উইকেট যতই কঠিন হোক না কেন রান করা যায়। আশা করি, জ্যামাইকায় আপনারা ভালো টেস্ট দেখবেন বা আমরা ভালো ম্যাচ উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৬টি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোই দুই ম্যাচের। এরমধ্যে ২০০৯ সালের সফরে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারে টাইগাররা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে