ডেস্ক রিপোর্ট
হজ কার্যক্রম ২০১৮-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১১ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে আসকোনা হজ ক্যাম্পে ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট মক্কার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা হজে গিয়ে দেশবাসীর জন্য দোয়া করবেন। দেশ যেন উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হয়। আমরা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যে কাজ করেছি, যে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছি, তা যেন ভালোভাবে শেষ হয়, সে জন্য দোয়া করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে হজ ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট সমস্যা ছিল। ১৯৮৪ সালে আমি প্রথম ওমরাহ পালন করতে যাই। মিনায় গিয়ে আমি বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সমস্যার কথা জেনেছি। তখন যদিও আমি কোনও দায়িত্বে ছিলাম না, তবু সৌদি বাদশাহকে চিঠি লিখতাম এসব সমস্যা সমাধানের জন্য। পরে ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে হজ ব্যবস্থাপনা ভালো করার জন্য উদ্যোগ নেই। ধীরে ধীরে এই সমস্যার সমাধান করি। আপনারা যেন ভালোভাবে সেবা পান, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
হজযাত্রীদের থাকার সুব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে হজ টার্মিনালের পাশে হজ যাত্রীদের থাকার জন্য ৪০ কোটি টাকা ভাড়া দিয়ে আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে সেখানে হজ যাত্রীদের রাস্তাঘাটে পরে থাকতে হতো। হাজিদের যেন কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য সেখানে ভলান্টিয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে দোভাষী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হজ যাত্রীদের কীভাবে কী করতে হবে সে ব্যাপারে একটা নির্দেশিকা করা হয়েছে। এখন আমাদের হজ ব্যবস্থাপনা সর্বক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করেছে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কিছু মানুষ আমাদের ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কিছু কিছু মানুষের জন্য সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অধিকার কারও নেই। ধর্ম মানুষের কাছে উচ্চ আসনে থাকুক আমি সেটাই চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘জেলায় জেলায় আধুনিক মসজিদ নির্মাণে ৮০ ভাগ জায়গা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি। ৮০০ হাজার কোটি টাকা একনেকে পাস হয়েছে।’ এ সময় ইসলাম ধর্ম নিয়ে যেন কোনও বিভ্রান্তি না হয় সেজন্য মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমে মসজিদভিত্তিক শিক্ষা শুরু করার কথা জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিমানমন্ত্রী একেএম শাজাহান কামাল, ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিএইচ হারুন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচএম আল-মুতাইরি। সূত্র: বাসস