বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও এখন থেকে অটোমেটিক (স্বয়ংক্রিয়) পদ্ধতিতে ট্রেন ওয়াশ করা হবে।
রেলওয়ে জানায়, ট্রেন চলাচল সময়সূচি বজায় রাখার সুবিধার্থে সময় বাঁচানোর লক্ষ্যে দেশে প্রথম অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্লান্ট (এডব্লিউপি) স্থাপন করতে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।বাসস’র সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের এডব্লিউপি’র প্রকল্প পরিচালক হারুন অর-রশিদ জানান, ‘পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এ দুটি ওয়াশিং প্লান্ট স্থাপন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের প্লান্টটিতে মিটার গেজ এবং রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের প্লান্টটিতে ব্রড গেজ ট্রেনের কোচ ওয়াশ করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ প্রকল্প দুটি সফল হলে ধাপে ধাপে অন্য জংশন গুলোতেও অটোমেটিক ওয়াশিং প্লান্ট স্থাপন করা হবে।’
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে রেল মন্ত্রণালয়ের ২৫০টি ব্রড গেজ ও মিটারগেজ কোচ ক্রয় প্রকল্পের অধীনে এসব প্লান্ট স্থাপন করা হবে।
কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি রেলস্টেশনে ওয়াশফিল্ডে প্রতিদিন ট্রেনের ট্রিপ শেষে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নিয়মিত ট্রেন পরিষ্কারের কাজ করা হয়।
তারা জানান, বর্তমানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রতিটি ট্রেন পরিষ্কারে কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা বা অতিরিক্ত বগিসম্পন্ন ট্রেনের ক্ষেত্রে ২ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়। এতে সময় ছাড়াও অতিরিক্ত জনবল ও ব্যয়ের প্রয়োজন পড়ে।
হারুর অর-রশিদ বলেন, অনেক সময় জনবলের স্বল্পতার কারণে সময় বেশি লাগে এবং এতে ট্রেন চলাচলের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু অটোমেটিক পদ্ধতিতে একটি ট্রেন পরিষ্কার করতে বড় জোর পাঁচ মিনিট সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ট্রেনের শিডিউল রক্ষা করা এমনিতেই কষ্টসাধ্য। তার ওপর ওয়াশ করতে গিয়ে দেড়-দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় হলে শিডিউল রক্ষা করা আরো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চাহিদার কথা বিবেচনা করেই প্লান্ট দু’টি স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’