সফররত রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি ইভানোভিচ বরিসভ আজ রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
দু’নেতা আজ রূপপুর পারমাণকিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাই কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে এখানে আসেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য রুশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
দু’দেশের মধ্যে চমৎকার আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক বলবৎ থাকায় এসময় উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন, বলেন প্রেস সচিব।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিশ্বকাপ ফুটবলের চমৎকার আয়োজনের জন্যও রাশিয়ান ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানান, এটি বাংলাদেশের মানুষের মাঝেও প্রভূত আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার সাহায্য ও সহযোগিতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরে দেশ পুনর্গঠনে এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইন মুক্ত করায় ও রাশিয়ার বিশেষ অবদান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই বর্তমান সরকার ঢাকা ও রশিয়ার পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
তাঁর সরকারের ভবিষ্যতে আরো পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কেননা, এ ধরনের প্রকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন- বিদ্যুতের একটি উৎস যা বাংলাদেশের মত একটি দেশের উন্নয়নের একটি অন্যতম প্রধান পূর্বশর্ত।
রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং রাশিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান সহযোগিতাকে সমভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত আখ্যায়িত করে বলেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই সহযোগিতাকে দুই দেশের পারস্পরিক মুনাফার জন্যই বিভিন্ন ক্ষেত্রে অব্যাহত রাখতে চায়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেজ ওসমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন এবং রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম সাইফুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
ডেস্ক রিপোর্ট