উন্নয়নের সিঁড়ি হিসেবে শিক্ষাকেই বেছে নিয়েছে বর্তমান সরকার : মোকতাদির চৌধুরী এমপি

স্টাফ রিপোর্টার

বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে প্রসার ও জনগণকে শতভাগ শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে মন্ত্যব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট লেখক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ২০১৮ জেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি বক্তব্যে এ মন্ত্যব্য করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) কামাল মোহাম্মদ রাশেদ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন শিক্ষা অগ্রগতি তথা রাষ্ট্রের জন্য উপযোগী পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমান সরকার শুধু বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে ক্ষান্ত হয়নি, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার সেই সব উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। কারণ শিক্ষার মাধ্যমেই পরিবর্তন সম্ভব এবং সেই পরিবর্তনের মাধ্যমেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভবপর হবে। তিনি বলেন- সামষ্টিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার বিকল্প নেই এবং বর্তমান সরকারও সেই বিষয়টি উপলব্ধি করে উন্নয়নের সিঁড়ি হিসেবে শিক্ষাকেই বেছে নিয়েছে এবং তদানুযায়ী পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে অবিরাম। মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন,২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে এ পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়েছে। সাফল্য দেখিয়েছে নানাবিধ সেক্টরে। সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে থেকে এসেছে অনেক স্বীকৃতি। এ সবই বর্তমান সরকারের সাফল্য, আর এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে সাহসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন যদি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে তাহলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মনবাড়িয়ার পৌর সভার মেয়র নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হানিফ, সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ এস এম শফিকুল্লাহ, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।

জেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র মিত্রের স্বাগত বক্তব্যে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন, নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সাহেদুল ইসলাম, আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থী দীপ্তি চৌধুরী, মনির হোসেন, অনুষ্ঠান পরিচালনায় করেন শফিকুর রহমান ৷ অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণকারীসহ   জেলা ও উপজেলা থেকে র্নিবাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক,শ্রেষ্ঠ স্কাউট শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইড গ্রুপ ও বিভিন্ন ক্যাটগরীর শতাধিক পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে