মানবতাবিরোধী অপরাধে মৌলভীবাজারের চারজনের মৃত্যুদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের রাজানগর উপজেলার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক আকমল আলী তালুকদারসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামিদের মধ্যে একজন কারাগারে এবং বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ২৭ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল

universel cardiac hospital

রায়ের সময় প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর শেখ মুশফিক কবীর, প্রসিকিউটর সাইয়েদুল হক সুমন প্রমুখ। আর আসামি আকমলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। এছাড়াও পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন আবুল হাসান

আসামিদের মধ্যে আকমল আলী তালুকদার (৭৩) গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। পলাতক অন্য তিন আসামি হলেন মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আব্দুন নূর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া, আনিছ মিয়া আব্দুল মোছাব্বির মিয়া

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, গুম, লুটপাট অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে

এর আগে ২০১৭ সালের মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। একাত্তরে ৫৯ জনকে হত্যা, ছয়জনকে ধর্ষণ, ৮১টি বাড়িতে লুটপাট অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলায় প্রসিকিউশনের ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনই একাত্তরে আসামিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ধর্ষণের শিকার। আর সাক্ষী বারীন্দ্র মালাকার সুবোধ মালাকার সরাসরি আসামিদের নির্যাতনের শিকার। তারা দুজনই সে সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন

 

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর গত বছরের মে অভিযোগ গঠন হয়। সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় জুলাই

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই রাজনগরের পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে আকমল আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত এই উপাধ্যক্ষকে পরে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে