আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খাইরুজ্জামান লিটনের পক্ষে রাজশাহীর মুক্তিযাদ্ধা সমবায় কল্যাণ অফিসে আজ ( ১৮ জুলাই) সকাল ১১টায় আলেম ওলামা, ৫০ টি মসজিদের ইমাম, মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় । মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সাধারন সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা-এমপি । তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থী বুলবুল রাজশাহীর রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট করছে। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।
প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আলেম-ওলামাদের সম্মান পুনস্থাপন করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে দেশ ধ্বংসের পায়তারা করছে জালেমরা ।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ধরনপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, মেহেরচন্ডী পূর্বপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আবুল কালাম আজাদ , বাইতুল কদর জামে মসজিদের সভাপতি ডা. মো. গোলাম রব্বানী, রাশমারি পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মো. বাবর আলী, তোমরপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোওলানা বাকী বিল্লাহ, বায়তুল কোবা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কাওসার আলী । অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন করেন মওলানা সাইফুল ইসলাম ।
এস এম কামাল বলেন ‘শেখ হাসিনা অালেম-বান্ধব; অন্য দিকে খালেদা জিয়া হচ্ছে জালেম-বান্ধব।’ তিনি অারও বলেন, ২০০৯-১৭ পর্যন্ত বর্তমান সরকার মাদ্রাসা ও ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে বিভিন্ন যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ফলে বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
দেশের সব জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করবে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের কাজ করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সৌদি সরকারের অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে ৮ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। আর খালেদা জিয়া ইসলামের প্রচার ও প্রসারে তো কিছুই করেইনি, বরং শান্তির ধর্ম ইসলামকে তার অপরাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে, ধর্মের নামে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, মায়ের কোল খালি করছে! গোটা বাংলাদেশকে বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছে।