এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষাবোর্ডগুলোর ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারাও পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফল হস্তান্তর করেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার পাস করেছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। এবার পাসের হার ৬৬. ৬৪ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৭৫.৫০ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ ১৮ হাজার। এর মধ্যে পাস করেছেন ৮৯ হাজার ৮৯ জন। জিপিও ৫ পেয়েছেন দুই হাজার ৪৫৬ জন।
তিনি জানান, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় চলতি বছর মোট ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ ২৫ হাজার ৩৮৭জন বেশি। গত বছর এইচএসসিতে পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৭২৬ জন। এবার শিক্ষার্থী বাড়লেও গতবছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ২.২৭ শতাংশ।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মোট ১০টি বোর্ডে গড়ে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের ফলাফল ভালো। এবার ছাত্রীদের পাসের হার ৬৯.৭২ শতাংশ। ছাত্রদের পাশের হার ৬৩.৮৮ শতাংশ।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে চলতি বছর ৯৭ হাজার ৭৯৩জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৭৬ হাজার ৯৩২জন। পাসের হার ৭৮.৬৭ শতাংশ। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক হাজার ২৪৪জন।
আজ দুপুর ১টায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফল তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আফরাজুর রহমান এ তথ্য জানান।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ২ এপ্রিল। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এবার উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন। এর মধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র ও ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী।
এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ১ লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম)-এ ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন ও ডিআইবিএসে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৬৯।
এছাড়া বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ছিল ২৯৯ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১৫৯ জন ছাত্র ও ১৪০ জন ছাত্রী।