ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।
তিনি বলেন, আর্থিক খাতের নিরাপত্তা বিধানে ডিজিটাল প্রযুক্তি সংগ্রহের পাশাপাশি সংগৃহীত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নিজস্ব মানবসম্পদ তৈরি করা অপরিহার্য।
গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক কনফারেন্স হলে ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি শীর্ষক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর ফজলে কবির, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থপ্রতিম দেব এবং ব্রাক ব্যাংকের সিইও সেলিম হোসেন বক্তৃতা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটালাইজেশনের ফলে বাংলাদেশ একটি ক্যাশল্যাস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। ২০০৯ সালের পর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। প্রতিদিন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং দেশের সাধারণ মানুষের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাইরের প্রযুক্তি বা সফটওয়ার ব্যবহারের এক সময় প্রয়োজন ছিল। কিন্তুু প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য নিজেদের মানুষকে গড়ে তুলছি কিনা সে জায়গাটায় সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যাংকিং খাতে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা থেকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা জড়িত। কাজেই নিরাপত্তা বিধানে নিজেদের সচেষ্ট হতে হবে। এই জন্য নিজস্ব জনবল তৈরি করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই্।
আইসিটি খাতে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংক বা যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুুত। প্রয়োজনে বিদেশ থেকেও যদি প্রশিক্ষক আনার প্রয়োজন হয় তাও করা হবে।
তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তার প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। ফরেনসিক ল্যাব থেকে শুরু করে যা যা প্রয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল রুপান্তর বেগবান করতে এবং সাইবার নিরাপত্তা বিধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক।
ডিজিটাল সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব কিছু করা হবে : তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট