আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারো বা কোন দলের দেয়া শর্ত মেনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ চারটি শর্ত পূরণ হলে আগামী নির্বাচন হতে পারে- বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ড. এমাজ উদ্দীন আহমদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের আজ রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। এ সময়ে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কারও কোনো শর্ত মেনে আগামী নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। এ নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো সংলাপেরও প্রয়োজন নেই। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সংলাপ করতে হবে।’
‘বিএনপিকে কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে’ দলের নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করছে, আগামীতেও রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ করবে, এ ব্যাপারে কেউ অনুমতি চাইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
আগামী অক্টোবর মাসে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, অক্টোবরের যে কোনো সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো নিয়েই ছোট আকারে মন্ত্রী সভা গঠন হবে। অন্য কাউকে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এতোদিন বলেছে, (কারাবন্দি) খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, এখন এক কাঠি বাড়িয়ে বলছে, নির্বাচন তারা প্রতিহত করবে। এতে আমরা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার আশঙ্কা করছি। তবে আমরা জনগণকে নিয়ে এটা প্রতিহত করবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য যে শর্ত দিয়েছে, কোনো শর্ত দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। সাংবিধানিকভাবে নিয়ম কানুন মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনেও বিএনপি আসবে কি, আসবে না সেইটা আমাদের দেখার বিষয় না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপি আসবে। সেটা তো তাদেরই প্রয়োজনে আসতে হবে না। নির্বাচন তো সরকারের অনুদান নয়। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা তাদের অধিকার। তারা না আসলে কী গণতন্ত্র থেমে থাকবে? অবশ্যই না।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ওবায়দুল কাদের শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ইতিহাসে এই প্রথম এতো বড় একটি অনুষ্ঠানে একজনই বক্তা ছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী। আমি শুধু মানপত্রটা পাঠ করেছি। এই শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, আওয়ামী লীগ সংগঠিত, সুশৃঙ্খল, স্মার্ট এবং মডার্ন।
মন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শনিবারই করা হয়েছে। মিছিলের পাশে পরিবহন চলতে পারে কি না সেইদিকে নজর ছিল আমাদের কড়া। তবে তারপরেও দু’একটি ঘটনা ঘটে থাকলে সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
কারো শর্ত মেনে নির্বাচন হবে না: ওবায়দুল কাদের
ডেস্ক রিপোর্ট