রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন বিশ্বকাপের জন্য নির্মিত ও সংষ্কারকৃত ১২টি ভেন্যুর সবগুলোই মূলত ফুটবলের জন্যই ব্যবহৃত হবে। এগুলোতে কনসার্ট হল কিংবা প্রদর্শনী কেন্দ্র হিসেবে পরিবর্তণ করা হবে না।
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে রাশিয়ার ১১টি শহরে কোন বড় ধরনের বিপদ বা নিরাপত্তাজনিত কোন দুর্ঘটনা ছাড়া বেশ সফলভাবেই পুরো টুর্নামেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্বকাপের সফলতায় সারা বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবল ভক্ত ও বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা রাশিয়ার ভূয়শী প্রশংসা করেছে। এখন রাশিয়ার সামনে সময় এসেছে ব্যবহৃত ভেন্যু ও অবকাঠামোগুলো সঠিক ভাবে ব্যবহারের। কালনিনগ্রাদে সরকারী ও ক্রীড়া বিষয়ক কর্মকর্তাদের সাথে মিলিত হয়ে এক আলোচনা সভায় পুতিন বলেছেন রাশিয়ান সরকার অন্তত আরো পাঁচ বছর পরে বিশ্বকাপের এই ভেন্যুগুলো যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাবে। বিভিন্ন মতামতের ভিত্তিতে প্রদর্শনী, কনসার্ট, ট্যুরিজম ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের যে আলোচনা হচ্ছে সেগুলো ঠিক আছে। কিন্তু আমি চাই প্রতিটি স্টেডিয়ামের যাতে নিজস্ব একটি ক্লাব থাকে, নাহলে এটিকে স্টেডিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা।’
রাশিয়া যখন ২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব লাভ করেছিল তখনই পুতিন ঘোষণা দিয়েছিলেন বিভিন্ন ফুটবল ক্লাব যাতে তাদের হোম ভেন্য হিসেবে পরবর্তীতে স্টেডিয়ামগুলো ব্যবহার করতে পারে সেটাই হবে তার মূল লক্ষ্য।
যে ১২টি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়েছে তার মধ্যে ৬টি একেবারে নতুন ও বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যগুলো সংষ্কার করা হয়েছে। ১২টির মধ্যে ৬টি রাশিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর হোম ভেন্যু। তবে এর মধ্যে আরো একটিকে জাতীয় স্টেডিয়াম হিসেবে স্বীকৃতি দেবার পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও বিশ্বকাপে কিছু কিছু স্টেডিয়াম এমন কয়েকটি শহরে নির্মিত যেখানে আর্থিক বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে। কালনিনগ্রাদ লিথুনিয়া ও পোল্যান্ডের মাঝামাঝিতে অবস্থিত রাশিয়ান একটি শহর যেখানে ৩৫ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ এই শহরের স্থানীয় ফুটবল দলটি রাশিয়ার দ্বিতীয় টায়ারে খেলে থাকে।
বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো ফুটবলের জন্য ব্যবহার করতে চান পুতিন
ক্রীড়া ডেস্ক