পাহাড় ধস রোধ ও বন রক্ষায় ডিসিদের সহায়তা চেয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

পাহাড় ধস রোধ ও বন রক্ষায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহায়তা চেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি বলেন, পাহাড় কাটা, বনের জমি লিজ নেয়া, বনভূমির অবৈধ দখল, নদী দখল, নদী দূষণ নিয়ে ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা কিভাবে এগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আনিসুল ইসলাম আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ না করলে পাহাড় ধস ঠেকানো সম্ভব নয় জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধ ও পরিবেশ দূষণ রোধে কি করা যায় যে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের পাঁচ হাজার একর বনভূমি নষ্ট হওয়ায় পাহাড়ের অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা রয়েছেন। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার একরের বন নষ্ট হয়েছে। পাহাড় ধসে মানুষ নিহত হওয়ার কারণ দুটি। গাছ কাটা এবং অবৈধ স্থাপনা। কক্সবাজারের অবস্থা আসলে সংকটাপন্ন।
‘অধিবেশনে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে’ সাংবাদিকরা জনতে চাইলে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা কক্সবাজারের কথা বলেছেন, যেখানে বনের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। বনের প্রায় ৫ হাজার একরের মতো জমির ক্ষতি হয়েছে। সেটা আবার পুনঃবনায়ন করার ব্যাপারে আমরা কী পদক্ষেপ নিচ্ছি, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও বান্দরবানের পাহাড় ধস নিয়ে কথা হয়েছে। পাহাড় ধসে মারা যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে- গাছ কাটা ও অবৈধ স্থাপনা। অন্যান্য জায়গায় পাহাড়গুলো পাথুরে থাকে কিন্তু আমাদের এখানে মূলত বালুমাটি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে না পারলে এ সমস্যা থেকে যাবে। বর্ষার আরও দু’মাস আছে, এ ব্যাপারে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সেই বিষয়ে ডিসিদের বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
‘পাহাড় ধস ও বনভূমি রক্ষায় ডিসিদের কী নির্দেশনা দিয়েছেন’? জানতে চাইলে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, কাউকে এককভাবে দোষ দেয়া যায় না। অনেক মানুষ যাদের জমি নেই তারা ওখানে থাকে। এদের উচ্ছেদ করা হয়, আবার গিয়ে থাকে।
‘তবে কী এর কোনো স্থায়ী সমাধান নেই’? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্থায়ী সমাধান আছে। এভাবে চলবে না। ব্যবস্থা হচ্ছে, একবারে উচ্ছেদ করা, তাদের অন্য জায়গায় বাসস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। এগুলো করতে পারলে এটা বন্ধ হবে। তবে সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা দরকার, যেসব জায়গায় আমরা গাছ কেটে ফেলেছি, সেসব জায়গায় গাছে রোপন করা, তাহলে পাহাড় ধস বন্ধ হবে।’

শেয়ার করুন

universel cardiac hospital

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে