দেরিতে হলেও অবশেষে আংশিক ফল ঘোষণা করল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। তাতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৫১টি ঘোষিত আসনের মধ্যে পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পেয়েছে ১১০টি আসন। পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএন–এন) ৬৩টি আসন দখল করেছে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র ঝুলিতে ৪২টি আসন। ফলে প্রত্যাশিত ভাবেই একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছে ইমরান খানের পিটিআই। তবে সরকার গঠনের জন্য জোটের রাস্তা খুঁজতে হবে ‘কাপ্তান’কে।
তিন প্রধান বড় দলের পরেই নির্দলদের স্থান। জয়ী হয়েছেন মোট ১২ জন নির্দল প্রার্থী। স্থানীয় দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০টি আসনে জিতেছে মুত্তাহিদা মজলিস–ই–আমল। পাকিস্তান মুসলিম লিগ–কায়েদ পিএমএলএন–কিউএর প্রার্থীরা জিতেছেন পাঁচটি আসনে।
২৫ জুলাই পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৭২টি আসনের ভোটগ্রহণ হয়। কিন্তু কোয়েটায় বোমা বিস্ফোরণের জেরে দু’টি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। ২৭০টি আসনের মধ্যে ২৫১টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাক নির্বাচন কমিশন। বাকি আসনগুলির ফলাফলও শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাশাপাশি প্রাদেশিক চারটি আইনসভাতেও ভাল ফল পিটিআইয়ের। ঘোষিত আসনগুলির নিরীখে পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনওয়ায় সরকার এগিয়ে ইমরানের দল। অন্যদিকে সিন্ধু প্রদেশে এগিয়ে পিপিপি। তবে বালুচিস্তানের ঘোষিত ফলাফলে এখনও স্পষ্ট ছবি আসেনি।