রাজশাহী সিটি কপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, আমি অতীতেও বলেছি, এখনো বলছি, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, আমি মেনে নিবো। প্রতিপক্ষ প্রার্থীরও জনগণের রায় মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই বিএনপি বলে আসছে, নিবার্চন স্বচ্ছ হবে না, সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের স্বদিচ্ছা নেই। এটি বিএনপি বাংলাদেশের সবখানে বলে, যেকোন নির্বাচন আসলেই তারা এসব বলে। গত ১০ বছর ধরে শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে।
তাদের এসব কথায় রাজশাহীর মানুষও বিরক্ত হয়ে গেছে। খেলতে নেমেই তারা বলছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। এটি বলা তাদের মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দুলু রাজশাহীতে আসার খবরের পরই আমরা আশঙ্কা করছিলাম। তারপর ককটেল হামলার ঘটনা ঘটলো, বিএনপির গণসংযোগে। ঘটনাটি বিএনপি নিজেরাই ঘটালো।
নির্বাচনে পুলিশকে ব্যবহারের আমাদের প্রয়োজন নেই। কারণ ইতোমধ্যে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি নৌকার বিজয় হবে।গাজীপুর ও খুলনা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট সংকট ছিল। রাজশাহীতে এজেন্ট সংকট আছে। তাদের এজেন্ট সংকটের ফলে তারা বিভিন্নভাবে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। লিটন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। নির্বাচনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট কাস্ট হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন মন্ডল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন প্রমুখ।