সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে দৈনিক ইত্তেফাকের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগের ব্যাচ পরে, নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে কিছু মানুষ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে গণ্ডগোল করেছে।
তিন মহানগর রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট চলাকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তিনটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ট উপদেষ্টা। এর মধ্যে সিলেটের ভোট নিয়ে ইত্তেফাকের সচিত্র প্রতিবেদক প্রকাশ করে জয় লেখেন, ‘প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের কর্মীরা এমন কাজ কেন করবে, যেখানে আমরা আমাদের জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত? আওয়ামী লীগ এতটা অযোগ্য দল নয়।’
প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বলেন, ‘আমরা যেটা সন্দেহ করেছিলাম, ব্যাপারটা তাই হয়েছে। এরা আসলে আওয়ামী লীগের ব্যাজ পরিহিত বিএনপির কর্মী যারা বিএনপির পক্ষেই ব্যালটে সিল দিয়েছে। হয়তো তারা আশা করেছে এভাবে জালভোট দিয়েই নির্বাচন জিতবে অথবা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।’
তিনি আরও বলেন,‘এসব নীচু প্রকৃতির কাজের কারণ, বিএনপি জানে তারা এই নির্বাচন জিততে পারবে না। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।’
‘বিএনপি অযোগ্য দল’
বরিশালে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের ভোটার নম্বর ছাড়া কেন্দ্রে গিয়ে হয়রান হওয়ার ঘটনাটি তুলে ধরে দলটিকে অযোগ্য আখ্যা দেন জয়।
প্রধানমন্ত্রী পুত্র লেখেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার নিজের ভোটার আইডি নম্বর জানতেন না এবং নিজের ভোট দিতে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডটিও নিয়ে আসেননি। এরপর ৪০ মিনিট ধরে তিনি কেন্দ্র আটকে রাখলেন যখন আরেকজন গিয়ে তার কার্ডটি নিয়ে আসে। বিএনপি এতটাই অযোগ্য একটি দল।’
সকালে নগরীর কাউনিয়া সৈয়দা মজিদুন্নেছো মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরোয়ার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ভোট দিতে আসেন মজিবর রহমান সারোয়ার। ভোটার নম্বর না জেনে ভোট কেন্দ্রে এসে বিপাকে পড়েন তিনি। কেন্দ্রের দোতলায় গিয়ে একবার ফিরতে হয় ভোট না দিয়ে। পরে তিনি মোবাইল ফোনে নম্বর জেনে ভোট দেন।