সোমবার অনুষ্ঠিত তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন, একটিতে এগিয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বিশাল ব্যবধানে জয় নিশ্চত করেছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী এগিয়ে রয়েছেন।
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ৮৭ হাজার ৩৯৬ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। রাজশাহী সিটির ১৩৮টি কেন্দ্রে লিটনের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট।
রাজশাহীতে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন এবং নারী ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৮১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি স্থগিত হওয়ায় মেয়র প্রার্থী কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মজিবুর রহমান সরওয়ার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৩৫ ভোট। স্থগিত এই ১৬টি কেন্দ্রের মোট ভোট ৩২ হাজার ৯৩০টি। তবে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ারের চেয়ে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ৯৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন। স্থগিত কেন্দ্রের সব ভোট সরওয়ার পেলেও তিনি সাদিককে অতিক্রম করতে পারবেন না বলে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা মাত্র।
বরিশালে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন এবং নারী ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩০০ জন। বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৪৫১ ভোট। বরিশালে ৫৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান।
অপরদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দীন আহমদ কামরান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। এই দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৪ হাজার ৬২৬টি। সোমবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়। স্থগিত দুটি কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৭জন। দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান এর চেয়ে কম হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান ফলাফল ঘোষণা করেননি। তিনি জানান, ভোটের ফলাফলের সিদ্ধান্তের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে। কমিশন এ ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেবে এটাই চূড়ান্ত হবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৬ জন ভোটার। এরমধ্যে বাতিল ভোট ছিল ৭ হাজার ৩৬৭টি।