ডেস্ক রিপোর্ট
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন । বুধবার দুপুরে এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি অবিলম্বে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্ভূত সংকট সমাধান করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
ফখরুল বলেন, বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থীর হৃদয়বিদারক মৃত্যুতে দেশজুড়ে মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়লেও তাতে সরকারের বিন্দুমাত্র টনক নড়েনি। বরং বেপরোয়া বাসচালক দিয়ে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের লক্ষ্য করে গুলি, টিয়ার গ্যাস ও বেধড়ক লাঠিচার্জে যেভাবে ক্ষতবিক্ষত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা কেবল নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকদের পক্ষেই সম্ভব। ন্যায়বিচার না পাওয়া, বঞ্চিত, প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীদের হিংস আক্রমণে আহত করার পর অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার সব ক্ষেত্রে সীমাহীন ব্যর্থতায় পর্যবসিত। সরকারের প্রশ্রয়ে দুষ্কৃতিকারীদের দাপট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই দেশে এখন মানুষের জীবন-জীবিকা চরমভাবে নিরাপত্তাহীন। শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হওয়ার পরে যখন সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ বেদনার্ত, শোকাহত ও ক্ষুব্ধ, তখন ছাত্র-ছাত্রীর লাশ নিয়ে নৌমন্ত্রীর হাসি যেন বিদ্রূপের হাসি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, যিনি পরিবহন সেক্টরের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, সুতরাং তার আশকারায় দীর্ঘদিন ধরে এই সেক্টরে অরাজকতা লেগেই আছে। কিছু প্রশিক্ষণহীন অদক্ষ চালক ও লাইসেন্সবিহীন কমবয়সি চালক এবং চলাচলে অনুপযুক্ত যানবাহনের প্রাধান্য থাকলে সড়ক-মহাসড়কে মরণঘাতী ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তেই থাকবে। আর এগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে শুধু নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের প্রশ্রয়ে।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ভোগ-লালসায় মত্ত ক্ষমতাসীনরা মানবিক বিবেচনাগুলো পদদলিত করছে। দুই শিক্ষার্থীর এই মর্মস্পর্শী নিহত হওয়ার ঘটনার পরও সরকারের নির্লিপ্ত উদাসীনতা হঠকারী বাসচালকদেরকে উৎসাহিত করেছে। গতকালও (মঙ্গলবার) একজন শিক্ষার্থী কুমিল্লায় গাড়িচাপায় নিহত হয়েছেন। ক্ষমতা কুক্ষিগত করা জবাবদিহিহীন সরকার শুধু ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে নির্দয়ভাবে দমন করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে বলেই অপরাধীরা প্রকাশ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে।