ডেস্ক রিপোর্ট
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কোন উস্কানির ফাঁদে পা না দেয়ার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। সড়কের শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করছি।’ একইসাথে শিক্ষার্থীদের রাজপথ থেকে ঘরে ও নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নেয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।
আজ শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের সম্পাদকম-লীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগ নেতা আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আখতারুউজ্জামান, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ এবং সতর্কতার সাথে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কোন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় এবং জনগণের যাতে কষ্ট না হয়, তার জন্য সরকার শিক্ষার্থীদের সব দাবি ইতোমধ্যে মেনে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর বিষয়ে মনিটরিং করছেন এবং আগামী সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে নতুন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে আগামী সংসদ অধিবেশনে তা পাস করার জন্য উত্থাপন করা হবে। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে বিএনপি ও সাম্প্রদায়িক শক্তি ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ভর করে আন্দোলনকে উস্কে দিতে চায়।’ রাজনীতিক অশুভ তৎপরতার মাধ্যমে যাতে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেই জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থাকার আহবান জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে অশ্লীল ভাষায় যেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় তা শোভনীয় নয়। কোন অশুভ মহল হয়তো তাদের ওপর ভর করছে। কোথা থেকে খাবার এসেছে, কারা খাবার সরবরাহ করছে তা আমাদের জানা আছে।’
ওবায়দুর কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের ৯ দফা যৌক্তিক দাবি ইতোমধ্যে মেনে নেয়া হয়েছে। তাই সকলকে সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি অনুধাবন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি সাধারণ মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় সে জন্যে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, রাস্তায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় জনগণের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি শিগগিরই এই দুর্ভোগের অবসান হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে কেউ যাতে চাঁদাবাজি না করতে পারে তার জন্য সকল নেতাকর্মীদের প্রতি সজাগ ও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত সভায় মহানগরের অন্তর্গত দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সকল থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।