ক্রীড়া ডেস্ক
হল না! আশা জাগিয়েও এল না স্বপ্নের জয়। বরং, তীরের কাছে গিয়েও তরী ডোবার যন্ত্রণা সঙ্গী হল এজবাস্টনে। ৩১ রানে প্রথম টেস্ট জিতল ইংল্যান্ড। একই সঙ্গে পাঁচ টেস্টের সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ফলে।
চতুর্থ ইনিংসে জেতার জন্য ভারতকে করতে হত ১৯৪ রান। বিরাট কোহালির দল থামল ১৬২ রানে। ঘাতক হয়ে উঠলেন বেন স্টোকস। তিনিই নিলেন তিন উইকেট।
টানটান উত্তেজনার মধ্যে চতুর্থ দিনের সকালে শুরু হয়েছিল খেলা। জেতার জন্য ভারতের দরকার ছিল আরও ৮৪ রান। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। দিনের প্রথম ওভারেই ফিরেছিলেন দীনেশ কার্তিক। জেমস অ্যান্ডারসনের বলে তাঁর খোঁচা জমা পড়েছিল দ্বিতীয় স্লিপে ডেভিড মালানের হাতে।
এরপর পান্ডিয়ার সঙ্গে বিরাট কোহালির সপ্তম উইকেটের জুটিতে যোগ হয়েছিল ২৯ রান। এই জুটিই স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছিল ভারতের জয়ের। এর মধ্যেই অ্যান্ডারসনকে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে পঞ্চাশে পৌঁছান ভারত অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করলেন তিনি। পরের ওভারে স্টুয়ার্ট ব্রডকে দু’বার চার মারলেন পান্ডিয়া।
যখন মনে হচ্ছিল, এই জুটি জমে গিয়েছে, তখনই ছন্দপতন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট বোলার পরিবর্তন আনতেই পড়ল উইকেট। সোজা বল পায়ে লাগল কোহেলির। রিভিউ নিয়েও লাভ হল না। দেখা গেল স্টাম্পেই লাগছিল বল। এই একটা উইকেটই তো দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। এই একটা উইকেটই তো ছিল ভারতের রক্ষাকবচ। কোহালি ফিরতেই অশনি সঙ্কেত পরিষ্কার হয়ে উঠল।
তিন বল পরেই ফের উইকেট। এ বার কট বিহাইন্ড হলেন মুহাম্মদ শামি। ১৪১ রানে আট উইকেট, স্নায়ুর চাপ গ্রাস করে ফেলল ভারতীয় ড্রেসিং রুমকে।
১৫৪ রানে ফিরলেন ইশান্ত শর্মা। লেগস্পিনার আদিল রশিদের গুগলি বুঝতে না পেরে। আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে এল উইকেট। তখনও বাকি ৪০ রান। পান্ডিয়া একাই টানার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু স্টোকসের বলে তাঁর ক্যাচ জমা পড়ল প্রথম স্লিপে। লাফিয়ে উঠলেন রুট। ভারতীয় শিবির ডুবে গেল হতাশার অন্ধকারে