বিনোদন ডেস্ক
কারও পারিশ্রমিক ৫ কোটি তো কারও ১০! এক-একটি সিনেমার জন্য বলিউড-হিরোদের টাকার অঙ্কটা এমনই আকাশ ছুঁই। যত বড় তারকা, তত বেশি অঙ্কের চুক্তি। কিন্তু এই দলে নেই টিনসেলের পারফেকশনিস্ট। কারন আমির খান সিনেমার জন্য কোনও পারিশ্রমিকই নেন না!
তাহলে ভাবছেন কীভাবে চলে নায়কের! আছে মশাই। সিনেমা করতে বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি না করলেও। ছবির প্রযোজকের সঙ্গে লভ্যাংশ প্রাপ্তির চুক্তি থাকেন আমিরের। সম্প্রতি অভিনেতা জানিয়েছেন, ” অভিনয়ের জন্য কোনও অর্থ তিনি দাবি করেন না। তবে ছবির একটি লভ্যাংশ নেন। ছবি ফ্লপ হলে তিনি কিছুই পান না।”
আমিরের বক্তব্য, ” আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ চিত্রনাট্য। একবার যদি তা গল্প পছন্দ হয়। এবং ছবিতে যদি আমি অভিনয় করি। তাহলে চেষ্টা করি যাতে নির্মাতাদের কোনও আর্থিক ক্ষতি না হয়। ওঁনারা ভাল অর্থ কামাক”। ‘নির্মাতা ও সকলের পাওনা মিটে যাওয়ার পর আমার নাম আসে। ছবির লাভের একটা বড় অংশ নিই। আমি এভাবেই কাজ করি। আমার মনে হয়, নির্মাতারাও আমার পন্থায় খুশি।
প্রসঙ্গত, আগামী সিনেমা ‘ঠাগস অফ হিন্দোস্তান’ সিনেমার জন্য ব্যস্ত অভিনেতা। জানা গেছে,এই ছবির শুট্যিংয়ের জন্য দু’টি জাহাজ তৈরিতে প্রায় হাজার শ্রমিক এক বছর ধরে কাজ করেছেন ইউরোপের মাল্টা উপকূলে। অভিজ্ঞ ডিজাইনারদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। তৈরি হওয়ার পর দু’টি জাহাজের ওজন হয়েছে দুই লক্ষ কিলোগ্রাম।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে ফিকশনের এখনও পর্যন্ত সেরা উদাহরণ ‘বাহুবলী’। দু’টি ভাগে মুক্তি পেয়েছিল রাজামৌলির ছবিটি। আঞ্চলিক সিনেমা হলেও রেকর্ড ব্যবসা করেছিল মাহেশমতি সাম্রাজ্যের কাহিনি। এবার তাকেও টক্কর দিতে চান প্রযোজক আদিত্য চোপড়া। তাই খরচ যাই হোক, নিজের পিরিয়ড ড্রামাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কোনও আপস করতে রাজি নন প্রযোজক। তাই এমন ব্যবস্থা।
ছবিতে জলদস্যুদের কাহিনি দেখানো হবে। বেশিরভাগ শুটিংই করতে হবে সমুদ্রে। এর জন্য জাহাজেরও প্রয়োজন ছিল। প্রেক্ষাপট ঐতিহাসিক। তাই বিশেষ ধরনের জাহাজেরই প্রয়োজন ছিল। তাই এই জাহাজ তৈরির পক্ষে সায় দেন পরিচালক বিজয়কৃষ্ণ আচার্য, প্রযোজক আদিত্য চোপড়া ও আমির খান। ইতিমধ্যেই এই ছবির জন্য অমিতাভ, আমির, ক্যাটরিনা, ফতিমাদের লুক প্রকাশ্যে এসেছে।