ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জয়ের সুবাদে দুই ম্যাচ শেষে সিরিজে সমতা ১-১ এ। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে সোমবার ফ্লোরিডায় একই ভেন্যুতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে করে ১৭১ রান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে ১৫৯ রানে থামে। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ, টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৪৮ রান করতেই লিটন-মুশফিক-সৌম্যর উইকেট হারায় দলটি। তারপর ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান তামিম ও সাকিব। তাদের ৯০ রানের জুটি বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। ৪৪ বলে ইনিংস সেরা ৭৪ রান করে ম্যাচসেরা হন তামিম। সাকিব করেন ৩৮ বলে ৬০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন পল ও নার্স।
তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও দুরন্ত বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান তার প্রথম ২ ওভারে এভিন লুইস (১) ও আন্দ্রে রাসেলকে (১৭) সাজঘরে পাঠান। অথচ প্রথম দুই বল ওয়াইড দেন এই বাঁহাতি পেসার। ১.২ ওভারে লুইসকে এলবিডাব্লিউ করে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে রাসেলকে পেছনে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান তিনি। বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলসকে ১০ রানে লিটন দাসের ক্যাচ বানান সাকিব। দিনেশ রামদিনকে মাত্র ৫ রানে এলবিডাব্লিউ করে ফিরিয়ে দেন রুবেল হোসেন।
৫৮ রানে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট নিয়ে স্বস্তিতে থাকা বাংলাদেশের মুখের হাসি কেড়ে নেন আন্দ্রে ফ্লেচার। রভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে এই ওপেনার শক্ত জুটি গড়ার পথে ছিলেন। দুজনে ছিলেন আগ্রাসী। ৩৮ রানে আরিফুল হকের হাতে জীবন পান ফ্লেচার। অবশেষে ১৫তম ওভারে তাকে সাকিবের ক্যাচ বানান নাজমুল ইসলাম। ৩৮ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফিরেন ফ্লেচার।
দুই ওভার পর কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ১১ রানে সাকিবের শিকার হন। তবুও পাওয়েলের ব্যাটে লড়াইয়ে টিকে ছিল ক্যারিবিয়ানরা। নিজের শেষ ওভারে এই বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানকে মুশফিকের ক্যাচ বানান মোস্তাফিজুর রহমান। ১৮.৩ ওভারে পাওয়েল আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৪৩ রান করেন। এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি উইন্ডিজ।
শেষ ওভারে দলটির প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। এই কঠিন মুহূর্তে বাংলাদেশকে জেতানোর দায়িত্ব পান নাজমুল। দারুণ ঘূর্ণিতে ওই ওভারে মাত্র ২ রান করে উইন্ডিজ। শুধু তাই নয়, নাজমুল নেন ২ উইকেট। তৃতীয় বলে অ্যাশলে নার্সকে (১৬) ক্যাচ বানান আরিফুলের। ২ রানে বোল্ড হন কিমো পল। তাতে টানা ৫ ম্যাচ হারার পর টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
তিনটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার নাজমুল ও মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজ ৪ ওভার বল করে দেন ৫০ রান, আর নাজমুলের ৪ ওভারে ২৮ রান। সাকিব পান ২ উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দেন অধিনায়ক।