ফ্লোরিডার লডারহিলে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে নির্ধরিত ওভার শেষে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ১৮৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুটা ভালোও হয়েছিল টাইগারদের। মাত্র ৪.৪ ওভারে দলকে ৬১ রান এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।এর আগে ২২ বলে (৩.৪ ওভারে) দলকে ৫০ রান এনে দেন এই উদ্বোধনী জুটি। যা টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্রুততম অর্ধশত রান। তবে তামিমের ১৩ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংসটি থামিয়ে দেন কার্লোস ব্র্যাথহোয়াইট। এদিন ৩ নম্বরে নামেন সৌম্য সরকার। কিন্তু যথারীতি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। কেমো পলের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৫ রান। এরপর লিটন দাসের সাথে এসে যোগ দেন মুশফিকুর রহীম। কিন্তু তিনিও বিদায় নেন ব্যক্তিগত ১২ রানে।
মুশির বিদায়ের পর মাঠে নামে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়ককে নিয়ে দলীয় শত রানের কোঠা পার করেন লিটন। তার আগে মাত্র ২৪ বলে টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৬১ রানে থেমে যায় তার বিস্ফোরক ইনিংসটি। অ্যাসলি নার্সে বলে আউট হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন তিনি। ৩২ বল খেলে ৩টি ছক্কা ও ৬টি চারে সাজিয়েছেন তিনি নিজের ইনিংসটি।
এরপর সাকিবের সাথে এসে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহ। দুইজনের জুটিতে ভালোভাবেই এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। ৩১ বলে দলকে ৪৪ রান এনে দেন তারা। কিন্তু কেমো পলের বলে সাকিব আউট হলে ভেঙে যায় জুটিটি। দলীয় রান তখন ১৪৬, দলের পঞ্চম উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে সাকিব করেন ২৪ রান।
সাকিবের বিদায়ের পর আরিফুল হককে নিয়ে দলকে বড় রানের দিকে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। ২৫ বলে দুইজনের জুটিতে আসে ৩৮ রান। ২০ বলে অপরাজিত ৩২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। যেখানে ছিল একটি ছক্কা ও ৪টি চারের মার। অন্যদিকে আরিফুল হক ১৬ বলে করেছেন ১৮ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ব্র্যাথহোয়াইট ও কেমো পল।