ডেস্ক রিপোর্ট
দেশে ভালো নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রয়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, অক্টোবরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওস্থ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনে এক কর্মশালা শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেন।
প্রতিবন্ধী ভোটারদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা বিষয়ে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ডিসেম্বরে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ এই মুহূর্তে আছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘আমি মনে করি আছে। ভালো নির্বাচনী পরিবেশ আছে। অসুবিধা কোথায় দেখছেন? আমিতো অসুবিধা দেখছি না। সাংবিধানিক ধারা অনুসারে নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তো প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল। অংকেইতো বলে অক্টোবর থেকে নির্বাচনের সময় শুরু হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন করতে হবে।’
তফসিলতো অক্টোবরেই দেবেন এমন প্রশ্নে নূরুল হুদা বলেন, ‘দিতেই হবে। এটার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
নিরাপদ সড়ক দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গোটা দেশ উত্তাল। এমন প্রেক্ষাপটে তফসিল বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের সঙ্গে নির্বাচনের কি সম্পর্ক? এটা ভিন্ন ইস্যু। নির্বাচন নিয়েতো তারা কোনো কথা বলেনি।’
এই ইস্যু সম্পর্কে কনসার্ন আছেন কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘এখানে আমাদের কনসার্নের কিছু নেই। এটা সরকার দেখবে।’
পাঁচ সিটি নির্বাচনের উদাহরণ টেনে সাংবাদিকরা জানতে চান, জাতীয় নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘সিটি নির্বাচন খুব বেশি সুখকর ছিল না, এটা আমি মানতেই রাজি নই। কোথাও কোথাও অনিয়ম হয়েছে। এই জাতীয় পাবলিক ইলেকশনে এ রকম অনিয়ম কিছু কিছু হয়েই থাকে। যেখানে বেশি অনিয়ম হয়েছে, আমরা সেখানে বেশি অ্যাকশন নিয়েছি। যেমন: বরিশালে বেশি অনিয়ম হয়েছে, সেখানে আমরা বেশি অ্যাকশন নিয়েছি।’
বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন এক অনুষ্ঠানে বলেছেন জাতি আপনাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘ড. কামাল কিভাবে দেখেন তাতো আমি জানি না। জাতির কি পরিসংখ্যান তার কাছে আছে, তাও আমার জানা নেই। একটা কথা বলতে হলে পরিসংখ্যান নিতে হবে। জাতি ভোট কিংবা অন্য কোনোভাবে তাকে কি বলেছে, আমরা ইসির ওপর আস্থা রাখি না। এ রকম কথা আমি শুনিনি।’
সিটি নির্বাচনগুলোর আলোকে অনেকেই বলছেন বর্তমান কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে কিছুটা আছেন কিনা জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন, ‘না, আমরা অস্বস্তিতে নেই। আমরা মনে করি না যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ রকম অসুবিধা হবে। তবে অতো বড় বড় পাবলিক নির্বাচনে কোথাও কোথাও অনিয়ম হবে না এই নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ আমার নাই। হবে হয়তো, ওগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণ করব, যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে তার বিরুদ্ধে যদি অনিয়ম হয়।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের জন্য অনেক কাজ করছি। যেমন: ভোটার তালিকা হয়ে গেছে, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল হয়েছে, সীমানা পুনঃনির্ধারণ হয়েছে, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের কাজ চলছে। এগুলো অব্যাহত থাকবে।’