নিরাপদ সড়কের দাবীতে সম্প্রতি উত্তাল ছিল সারাদেশ! গেল সপ্তাহের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) অনলাইন দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নানা ধরণের গুজব। শুরু হয় শান্তিপূর্ণ নিরাপদ সড়ক অান্দোলন নিয়ে নোংরা রাজনীতি। নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে নানা আপত্তিজনক মন্তব্য করা হয়।
এমতাবস্থায় হত সোমবার (৬ আগস্ট) সকালে প্রিন্সেস মাহি নামে একটি পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ছবিটিতে একটি ছোট্ট শিশুকে দেখা যায় পুলিশের পোষাক পরিহিত। হাতে একটি প্লেকার্ড যাতে লেখা রয়েছে অামিও রোজ স্কুলে যাই, নিরাপদ সড়ক অামিও চাই। যা সবার দৃষ্টি কেড়েছে।
অান্দোলনের মাঝেই সবাই ছবিটি নিজের টাইম লাইনে পোস্ট করেছে। সোমবার সারাদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অালোচিত ছবি ছিল এটি। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ফেইসবুক ভেরিফাইড পেইজেও এই ছবিটি নিয়ে স্ট্যাটাস দেখা যায়, যার শিরোনাম ছিল “যদি তুমি গুজব এ কান দাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি গুজব হটাও তবে তুমি-ই বাংলাদেশ।
এছাড়াও কবি, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, রাজনীতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরা শেয়ার দিয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ও বর্তমান নেতা থেকে শুরু করে অনেক ইউনিট প্রধানদের কেও দেখা যায় ছবিটি নিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ছবিটি ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান ও ডা. মির্জা ঊর্মি খান দম্পতির একমাত্র মেয়ে মির্জা মাহিরা খানের।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তাঁর মা ডা. মির্জা ঊর্মি বলেন, পুলিশ পরিবারের সন্তান হয়ে দেখেছি কত কষ্ট করে পুলিশ। তারপরও কতরকম বিশ্রী কথা শুনতে হয় পুলিশকে। সম্প্রতি অান্দোলনের সময় অনেক বাজেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে পুলিশকে। তাই পরিশালীত ভাষায় প্রতিবাদ হিসেবে অামি এই ছবিটি পোস্ট করি। এ বিষয়ে তাঁর বাবা উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান বলেন অশ্লীল ভাষা দিয়ে আন্দোলন হয়না। আমি আমার সন্তানকে শিখিয়েছি ভাল শব্দ লিখেও প্রতিবাদ করা যায়।