ডেস্ক রিপোর্ট
জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সামান্য বাড়লেও কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পেঁয়াজ-মসলার দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।তবে জুলাই মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে কমেছে মূল্যস্ফীতির হার। ফলে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সময়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জুলাইয়ে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। আমাদের মুদ্রা বিনিময়ের হার কিছুটা বাড়লেও যেসব পণ্য আমরা আমদানি করি, সেসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়েনি। ফলে, মূল্যস্ফীতি কমেছে। মন্ত্রী বলেন, কোরবানি ঈদে মসলা-পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না।
এসময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ইতোমধ্যেই পেঁয়াজ ও মসলার দাম বেড়েছে। এর জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, হয়তো পেঁয়াজসহ মসলার চাহিদা বেশি থাকায় এগুলোর দাম কিছুটা বাড়তে পারে। কিন্তু কোরবানির সময় অনেকে কিছুদিন মাংস সংরক্ষণ করে রাখে। তাই পরবর্তী সময়ে তাদের সেটা আর কিনতে হবে না। তাই সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না।