স্বীকৃতি পাচ্ছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী

ডেস্ক রিপোর্ট

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলো দুই দশকের বেশি সময় ধরে তাদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি করে আসছে। সর্বশেষ ষোড়শ সংশোধনীর সময় এ দাবি জোরালো হয়।দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা নিরূপণে ১৯৫০ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনটিকে দীর্ঘ সময় ধরে বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই তালিকায় ২১টি জাতিগোষ্ঠীর নাম ছিল।

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা নিয়ে বহুদিন ধরে বিতর্ক চলছে। ২০১০ সালে আইনটি হওয়ার পর কিছু জাতির স্বীকৃতি মেলে। আইনটিতে ২৭টি জাতিগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু উসুই, মং ও পাহাড়ি নামে তিন জাতিগোষ্ঠীর উল্লেখ করা হয়, যাদের বাস্তবে কোনো অস্তিত্বই নেই।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘তালিকাটি নিয়ে আমাদের শুরু থেকেই আপত্তি ছিল। আমরা একে বাদ নিয়ে আরও গবেষণা করে যথার্থ তালিকা করার দাবি করেছিলাম।’

এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ২০১৪ সালে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, বিশেষ পেশাজীবী, বর্ণাশ্রিত গোষ্ঠী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়নে’ একটি জাতীয় কমিটি করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এতে আদিবাসী ফোরামসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সংগঠনের প্রতিনিধি, গবেষক, নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, সরকারের নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক একাডেমির পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যুক্ত হন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে একটি একাডেমিক কমিটিও গঠিত হয়। চার বছর ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৫০টি জাতিগোষ্ঠীর একটি তালিকা করা হয়।

এ বিষয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইনে (২০১০ সাল) এখন এসব তালিকা যুক্ত হবে। তালিকা মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। পরে সংসদে আইনটি সংশোধনের জন্য তোলা হবে। তিনি বলেন, ‘আপাতত ৫০টি জাতিগোষ্ঠীকেই স্বীকৃতি দিতে চায় সরকার। তবে এ তালিকা যদি বাড়াতে হয়, তার জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে